সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডেঙ্গুর পর এবার ডায়েরিয়া। জলবাহিত এই রোগের প্রকোপে আতঙ্ক ছড়িয়েছে বাঘাযতীন, পাটুলি ও যাদবপুরের তিন ওয়ার্ডে। আক্রান্ত প্রায় ২৫০ জন। বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে ১৬ জনের। ডায়েরিয়া মোকাবিলায় আসরে নেমেছে কলকাতা পুরসভা। শনিবার সকালে ডায়েরিয়া আক্রান্তদের খোঁজ খবর নিতে হাসপাতালে যান মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মেয়র পারিষদ সদস্য দেবব্রত মজুমদার, বরো চেয়ারম্যান সুশান্ত ঘোষ-সহ এলাকার কাউন্সিলররা। পানীয় জলের নমুনা সংগ্রহ করেছেন পুরকর্মীরা। মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘ভয় পাওয়ার কিছু নেই। পরিস্থিতি উপর নজর রাখছে পুরসভা। আক্রান্তদের ওআরএস-সহ প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে।’ যেসব এলাকায় ডায়েরিয়া প্রকোপ দেখা দিয়েছে, সেখানকার বাসিন্দাদের জল ফুটিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে পুরসভা।
[সম্পর্কে ‘না’, প্রাক্তন প্রেমিকাকে ফিল্মি কায়দায় অপহরণ যুবকের]
জানা গিয়েছে, বাঘাযতীন, পাটুলি ও যাদবপুরের ১০১, ১০২ ও ১১০ ওয়ার্ডে ডায়েরিয়া ছড়িয়েছে।শনিবার ভোর থেকেই ডায়েরিয়া রোগীদের ভিড় বাড়তে থাকে বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। হাসপাতালে ভরতি ১৬ জন। এখনও পর্যন্ত ওই তিনটি ওয়ার্ডে ডায়েরিয়া আক্রান্ত সংখ্যা ২৫০। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায়, একটি শিশুকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথে। কিন্তু, কীভাবে এই রোগ ছড়াল? তা স্পষ্ট নয়। কলকাতা পুরসভার সূত্রে খবর, ১০১, ১০২ ও ১১০ ওয়ার্ডে ধাপার জয়হিন্দ প্রকল্প কিংবা গার্ডেনরিচ থেকে পানীয় জল সরবরাহ করা হয়। তাই যদি পুরসভার পানীয় জল থেকে ডায়েরিয়া ছড়িয়ে থাকে, তাহলে তো স্থানীয়দের সকলেরই ডায়েরিয়া হওয়ার কথা। কিন্তু, বাস্তবে তেমনটা হয়নি। পানীয় জলের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছেন পুরকর্মীরা। শনিবার সকালে ডায়েরিয়া আক্রান্তদের বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে যান কলকাতা পুরসভার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। পরিস্থিতির উপর সর্বক্ষণ নজর রাখছেন মেয়র পারিষদ দেবব্রত মজুমদার, বরো চেয়ারম্যান সুশান্ত ঘোষ-সহ এলাকার কাউন্সিলররাও। মেয়র জানিয়েছেন, ‘আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। পরিস্থিতি উপর নজর রাখছে পুরসভা। আক্রান্তদের ওআরএস-সহ প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে।’ স্থানীয় বাসিন্দাদের জল ফুটিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে পুরসভা। কোথাও কোথাও আবার আগামী ৩ দিন জল না খাওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শোনা যাচ্ছে, ওইসব এলাকায় পুরসভার তরফে বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহ করা হতে পারে। এদিকে ডায়েরিয়া প্রকোপের কারণে স্থানীয় দোকানগুলিতে খনিজ সংমিশ্রিত প্যাকেটজাত জল ও ওআরএসের মতো ওষুধের চাহিদা বেড়ে গিয়েছে।
[বিয়েবাড়িতে আগে খাওয়ায় স্ত্রীকে ‘খুন’, আটক স্বামী]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.