অভিরূপ দাস: করোনা (Corona Pandemic) আবহে একদিকে রোগীর চাপ ভয়ংকর। তিল ধারণের জায়গা নেই হাসপাতালে। এমনই সময় সামনে এল সরকারি হাসপাতালে টাকা তছরুপের ঘটনা। আরজি কর হাসপাতাল (RG Kar Hospital) থেকে উধাও হয়ে গেল প্রায় আড়াই লক্ষ রোগীর টিকিটের টাকা। ঘটনায় হাসপাতালেই কর্মরত কিছু কর্মচারীকে সন্দেহ করা হচ্ছে।
শহর, শহরতলী থেকে প্রতিদিন কয়েকশো রোগী আসেন এই হাসপাতালে। হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ২ টাকা টিকিট কেটে বহির্বিভাগে দেখান তাঁরা। সেই হিসেবেই ধরা পড়েছে গরমিল। মার্চ মাস পর্যন্ত প্রায় আড়াই লক্ষ টিকিট বিক্রি হলেও সেই বাবদ ক্যাশে যে ৫ লক্ষ টাকা থাকার কথা তা বেমালুম উধাও হয়ে গিয়েছে৷ হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই টাকা আদৌ জমাই পড়েনি হাসপাতালের ক্যাশ বিভাগে। সন্দেহ করা হচ্ছে, জরুরী বিভাগের কাউন্টারে যে কর্মচারী বসেন, তিনিই সেই টাকা আত্মসাৎ করেছেন। হাসপাতাল সুপার মানস বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই স্বীকার করেছেন এই তছরুপের কথা। তবে এই বিষয়ে অতিরিক্ত কিছু বলতে নারাজ তিনি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই জরুরী বিভাগের কাউন্টারে কর্মরত এক কর্মচারীকে নোটিস দেওয়া হয়েছে। কী বলা হয়েছে সেই নোটিসে?
সুপার ওই কর্মচারীকে লিখিত নোটিসে জানিয়েছেন, “মার্চ মাস পর্যন্ত কাউন্টারে টিকিট বিক্রির ৫ লক্ষ টাকা জমা দেননি। এনিয়ে বহুবার আপনাকে টাকা জমা করার কথা বলা হয়েছে। এটা শেষ এবং ফাইনাল রিমাইন্ডার। আগামী ৭ দিনের মধ্যে টাকা জমা দিন। নয়তো কঠোর প্রশাসনিক এবং আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সরকারী হাসপাতালে এর আগে চিকিৎসার নানান অভিযোগ উঠলেও রোগীর টিকিট বিক্রির টাকা উধাও হওয়ার ঘটনা বিরল। তাও আবার শহরের এমন নামী হাসপাতালে। এর পিছনে কোন কোন কর্মচারী জড়িত, তা জানতে অর্ন্ততদন্ত শুরু করেছে হাসপাতাল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.