Advertisement
Advertisement

Breaking News

Manjusha Neogi

কেরিয়ারে হোঁচট খাওয়ার ভয়? বিয়ের কথা ৩ মাস গোপনে রেখেছিলেন প্রয়াত মডেল মঞ্জুষা

স্ত্রীর কাজ নিয়ে উদাসীন ছিলেন ১৫ বছরের বড় স্বামী, তদন্তে দাবি পুলিশের।

Model Manjusha did not reveal her marital status for three months, tensed about career | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:May 29, 2022 12:17 pm
  • Updated:May 29, 2022 12:20 pm  

স্টাফ রিপোর্টার: বিয়ে হয়েছিল ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে। কিন্তু কাউকে কিচ্ছু জানাননি সদ্যপ্রয়াত মডেল-অভিনেত্রী মঞ্জুষা নিয়োগী (Manjusha Neogi)। ফেসবুকে রিলেশনসিপ স্টেটাস ছিল ‘সিঙ্গল’! সিঁদুর পরে বরের সঙ্গে প্রথম ছবি আরও তিন মাস পর। ফেব্রুয়ারির একেবারে শেষে। শুভেচ্ছা তো কোন ছার, সেসব ছবি দেখে চোখ কপালে তুলে ঢোঁক গিলেছিলেন বন্ধুরা।

Advertisement

প্রয়াত মডেল মঞ্জুষা নিয়োগীর বিয়ের খবর জানতেনই না তাঁর সঙ্গীসাথীরা। তার প্রমাণও মিলছে ফেসবুকে। বরের সঙ্গে মঞ্জুষার ছবি দেখে বান্ধবী অনন্যা সরকার সে পোস্টের তলায় লিখেছিলেন, ‘কী বলছিস! কবে করলি তুই বিয়ে?’ আরেক বন্ধু শুভদীপ দত্তর গলাতেও বিস্ময়ের ছোঁয়া। ‘তোদের বিয়েটা কবে হল রে?’ কেন নিজের বিয়ে  (Marriage) লুকিয়েছিলেন মঞ্জুষা? ইন্ডাস্ট্রির উঠতি মডেলরা জানিয়েছেন, অভিনেত্রী মডেলদের কেরিয়ার সংক্ষিপ্ত। প্রথিতযশা অভিনেত্রীরাও প্রায়ই বলেন, বিয়ে হয়ে গেলে দাম কমে যায় রুপোলি জগতে।

মুম্বইয়ের এক বঙ্গতনয়াও সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, বিয়ে মানে গ্ল্যামার জগতের কফিনে শেষ পেরেক। বক্স অফিসে নায়িকাদের আর দাম থাকে না। এছাড়া পুরুষদের তুলনায় নায়িকাদের লড়াইও অনেক বেশি। প্রতি পদক্ষেপে নিজেদের প্রমাণ করতে হয়। বিয়ে মানেই সন্তান, নানা সামাজিক দায়বদ্ধতা, তা পেরিয়ে কেরিয়ার নিয়ে আর ভাবার সময় থাকে না। বিয়ে হয়ে গেলে অভিনেত্রীর রূপ থেকে নাচ, পোশাক থেকে আচরণ সব কিছুই প্রতি মুহূর্তে বিচারের কাঠগড়ায় তোলা হয়। আর সেসব পেরিয়েই একজন অভিনেত্রী কিংবা মডেলকে এগোতে হয়।

[আরও পড়ুন: গুমনামী বাবাই নেতাজি! নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে পরিবারের একাংশের চিঠি মোদিকে]

মডেলিং ইন্ডাস্ট্রিতে মঞ্জুষার ঘনিষ্ঠরা বলছেন, হয়তো এই কারণেই নিজের বিয়ের খবর লুকিয়ে ছিলেন উঠতি অভিনেত্রী-মডেল। এমনকী, মঞ্জুষা-রামনাথের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ফোটোগ্রাফার অভি চট্টোপাধ্যায়ও জানিয়েছেন, তাঁরা সেসময় কিছুই জানাননি। পরিচিত বন্ধুদের না জানিয়েই মালাবদল, সইসাবুদ করেছিলেন মঞ্জুষা-রামনাথ। স্ত্রীর মৃত্যুর পর এই নিয়ে কিছু বলতে চাইছেন না রামনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। পেশায় ফোটোগ্রাফার রামনাথ জানিয়েছেন, আমি পুরনো কিছু নিয়ে বলার অবস্থায় নেই। মঞ্জুষার তুলনায় বয়সে পনেরো বছরের বড় ছিলেন রামনাথ।

 

জানা গিয়েছে, বর বয়সে অনেকটাই বড়। প্রথমদিকে তাই বিয়েতে মত ছিল না অভিভাবকদের। পরে যদিও তাঁরা মেনে নেন। তবে সম্প্রতি বাড়ির লোকেরা পুরোদমে সংসার করতে বলছিলেন মঞ্জুষাকে। এদিকে কেরিয়ারকে মূলস্রোতে আনতে জেদ ধরেছিলেন মঞ্জুষা। তাই নিয়েই তৈরি হয়েছিল টানাপোড়েন।

[আরও পড়ুন: আন্দোলনের আঁতুরঘর যাদবপুরের পড়ুয়াদেরই পছন্দ, ১০ জনকে কোটি টাকা চাকরির প্রস্তাব]

অন্যদিকে, এও শোনা যাচ্ছে, স্ত্রীর পেশা নিয়ে বিশেষ আগ্রহ ছিল না রামনাথের। শুটিংয়ে সঙ্গ দেওয়ার প্রশ্ন নেই। বরং নিজের পেশা, অর্থাৎ ফোটোগ্রাফি নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন রামনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নিয়েই কি ঘরণির সঙ্গে মন কষাকষির সুত্রপাত? পছন্দসই কাজ না পাওয়ার পাশাপাশি জীবনসঙ্গীর এহেন নিস্পৃহতাই কি হতাশার কালগহ্বরে ঠেলে দিয়েছিল মঞ্জুষা নিয়োগীকে, যার পরিণতিতে নিজেকে শেষ করে দিলেন তিনি? বছর ছাব্বিশের মডেল অভিনেত্রী মঞ্জুষার অপমৃত্যুর প্রেক্ষিতে এমন অনেক প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে। যার উত্তর পেতে যোগাযোগ করা হয়েছিল রামনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তিনি জানিয়েছেন, ”মঞ্জুষা শুটিংয়ে যেতে চাইলে আমি অ্যাপ ক্যাব বুক করে দিতাম। কিন্তু কাজের ব্যস্ততার কারণে সেসব জায়গায় যেতাম না।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement