অর্ণব আইচ: ফের আলিপুর জেলে মিলল মোবাইল। গিরিশপার্ক গুলিকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত গোপাল তিওয়ারি কাছ থেকে একটি স্মার্টফোন উদ্ধার করল পুলিশ। প্রশ্নের মুখে জেলের নিরাপত্তা।
[যাদবপুরের ওসিকে গ্রেপ্তার না করলে বৃহত্তর আন্দোলন, হুঁশিয়ারি চিকিৎসকদের]
খাতায় কলমে জেলে বন্দিদের মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ। এমনকী, কর্তব্যরত অবস্থায় মোবাইল ব্যবহারের ক্ষেত্রে কারারক্ষীদের কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। শুধু তাই নয়, জেলে চত্বরে মোবাইলের অবাধ ব্যবহার রুখতে জ্যামারও বসিয়েছে আলিপুর জেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, তাতে কী! কারারক্ষীদের নজর এড়িয়ে বন্দীদের হাতে পৌঁছে যাচ্ছে মোবাইল। জানা গিয়েছে, আলিপুর জেল চত্বরের কয়েকটি নির্দিষ্ট জায়গা জ্যামারের আওতায় বাইরে। সেই সুযোগটাকেই কাজে লাগাচ্ছে বন্দিরা। দিন কয়েক আগেই আলিপুর জেল থেকে ২০টি মোবাইল উদ্ধার করেছিল পুলিশ। ফের মোবাইল পাওয়া গেল।
বছর তিনেক আগে পুরভোটকে কেন্দ্রে উত্তপ্ত হয়ে ওঠেছিল উত্তর কলকাতার গিরিশ পার্ক। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে গুলি চলেছিল। গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন এসআই জগন্নাথ মণ্ডল। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে স্থানীয় দুষ্কৃতী গোপাল তিওয়ারি নাম উঠে আসে। তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলাটি এখনও বিচারাধীন। আলিপুর জেলেই ছিল গোপাল। মাস কয়েক আগে তাকে দমদম সেন্ট্রাল স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। সম্প্রতি ফের গোপাল তিওয়ারিকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে আলিপুর জেলে। সোমবার সন্ধ্যায় তার কাছ থেকে একটি স্মার্টফোন উদ্ধার করে পুলিশ।
কিন্তু, জেলে গেটে তো নিরাপত্তারক্ষীরা থাকেন। তাঁদের নজর এড়িয়ে কীভাবে জেল ভিতর পৌঁছে যাচ্ছে? এই ঘটনায় আলিপুর জেলের কারারক্ষীদের একাংশই যে জড়িত, সে বিষয়ে জেলকর্তাদের কোনও সন্দেহ নেই বলে জানা গিয়েছে। অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে। জেলকর্তারা জানিয়েছেন, আগের থেকে আলিপুর জেলের নিরাপত্তা আগের থেকে অনেক কঠোর হয়ে গিয়েছে। তাই একন কাপড়ে মুড়ে বাইরে থেকে জেল চত্বরে ছুঁড়ে দেওয়া হচ্ছে মোবাইল।
[ শহরে ফের ‘স্কিমার’ আতঙ্ক, লক্ষাধিক টাকা খোয়ালেন যুবক]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.