কলহার মুখোপাধ্যায়, বিধাননগর: কেরলের কোঝিকোড়ে বিমান দুর্ঘটনার পর অতিরিক্ত সর্তকতা নিয়েছে দেশের বিমানবন্দরগুলি। বাড়তি সাবধানতা কলকাতা বিমানবন্দরেও। বিমান দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকারী বিভাগগুলির সঙ্গে সমন্বয় করে কাজের জন্য রানওয়েতে মোবাইল কম্যান্ড পোস্ট (MCP) নামক বিশেষ একটি যান নামানো হবে বলে জানা গিয়েছে। কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে আধুনিক ব্যবস্থায় সজ্জিত এই বাহন দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করে দেবে।
মঙ্গলবার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এই খবর জানিয়েছে। বিশেষ এই যানটি আগেই নিয়ে আসা হয়েছিল কলকাতায়। কোঝিকোড়ের ঘটনার পর সেটাকে আরও গুরুত্বের সঙ্গে ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বিমানবন্দরের তরফ থেকে।
এমসিপি আসলে অনেকটা ছোট লরির মতো। এই যানটিতে থাকবে একাধিক আধুনিক ক্যামেরা, সাময়িক চিকিৎসা সরঞ্জামও। ক্যামেরার মাধ্যমে ঘটনাস্থলের টাটকা ছবি গাড়ির মধ্যেই দেখতে পাবেন উদ্ধারকারীরা। সেই ছবি উদ্ধারকাজে যুক্ত সংশ্লিষ্ট বিভাগকে পাঠানো যাবে সঙ্গে সঙ্গে। উদ্ধারকারী দলের নেতৃত্বে যাঁরা থাকবেন, এমসিপির সাহায্যে তাঁরা সমগ্র কাজ পরিচালনা করতে পারবেন ঘটনাস্থল থেকেই। এই গাড়িতে থাকবে ৮ জনের বসার জায়গা। থাকবে ডিজিটাল বোর্ডের মাধ্যমে প্রোজেকশনের ব্যবস্থা এবং শব্দ প্রক্ষেপণের প্রযুক্তি। ঘটনাস্থলের টাটকা ছবি দেখে পরিকল্পনা করে দ্রুত নির্দেশ দিয়ে উদ্ধারকারী বিভাগকে সচল রাখতে এই গাড়ির বিশেষ ব্যবস্থা কার্যকরী ভূমিকা নেবে বলে আশাবাদী বিশেষজ্ঞরা।
গত শুক্রবারের দুর্ঘটনার পর আপৎকালীন পরিস্থিতিতে এসআরসি বা সারভাইভারস রিসেপশন সেন্টার খোলা হয়। তার সঙ্গে ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেন্টার (CMC) এবং এয়ারপোর্ট অপারেশন কন্ট্রোল সেন্টার (AOCC) খোলা হয় সাময়িকভাবে। এই তিন গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ দুর্ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট উদ্ধারকারী দলকে মূলত নেতৃত্ব দেয়। এই গোটা বিষয়টি র সমন্বয় সাধনের কাজটি করবে মোবাইল কম্যান্ড পোস্ট গাড়িটি। ঘটনাস্থলের ৯০ মিটারের মধ্যে দাঁড়িয়ে এটি কাজ করবে। সেরকম প্রযুক্তি ব্যবহার করেই তৈরি করা হয়েছে এই বিশেষ যানটি। এর মূল্য প্রায় ৪৬ লক্ষ টাকা। এপ্রিল মাসের শেষে এই যান কলকাতা বিমানবন্দরে আনা হয়েছিল। এখন এটিকে আরও গুরুত্ব সহকারে ব্যবহার করার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.