Advertisement
Advertisement

Breaking News

বিধানসভার অধিবেশন

বিধানসভায় প্রবেশের মুখে পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ, যোগ দিতে পারলেন না জলঙ্গির বিধায়ক

অধিবেশনে মাত্র ১৫ মিনিটের নীরব উপস্থিতি ছিল মুখ্যমন্ত্রীর।

MLA of Jalangi tested corona positive and had to return from Assembly
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:September 9, 2020 8:22 pm
  • Updated:September 9, 2020 8:22 pm  

সুদীপ রায়চৌধুরি: কোভিড (Coronavirus) পরিস্থিতিতে নজিরবিহীন রাজ্য বিধানসভার নিয়ম রক্ষার অধিবেশন। মাত্র ৪৬ মিনিটেই শেষ হয়ে গেল কাজ। শোকপ্রস্তাব এবং কয়েকটি সরকারি রিপোর্ট পেশের পর এবারের মতো মিটে গেল অধিবেশন পর্ব। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) মিনিট পনেরোর জন্য হাজির ছিলেন। তবে এদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিধানসভায় প্রবেশের মুখে অ্যান্টিজেন টেস্ট রিপোর্ট পজিটিভ এল জলঙ্গির বিধায়ক আবদুর রেজ্জাকের। ফলে শেষ মুহূর্তে তাঁকে ফিরে যেতে হল। তিনি আর অধিবেশনে যোগ দিতে পারলেন না। এদিন গরহাজির ছিলেন বেশ কয়েকজন মন্ত্রীও। তবে সবমিলিয়ে, প্রায় ১৫০ জন বিধায়ক, মন্ত্রী হাজির ছিলেন এদিন।

বুধবার একদিনের বিধানসভা অধিবেশনের যোগ দেওয়ার নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী, সকাল ৯টা থেকে শুরু হয় অ্যান্টিজেন টেস্ট। এদিন ১৯৫ জনের পরীক্ষা হয়। যার মধ্যে বিধায়ক আবদুর রেজ্জাক-সহ মাত্র দু’জনের টেস্ট রিপোর্ট পজিটিভ আসে। নিয়ম অনুযায়ী, ভিতরে অধিবেশন কক্ষে বসানো হয় একটু প্রবীণ বিধায়কদের। গ্যালারিতে বসেছিলেন তুলনায় কমবয়সি বিধায়করা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: আগামী সপ্তাহ থেকেই ছুটবে কলকাতা মেট্রো, চড়তে হলে এই নিয়মগুলি মানতেই হবে]

এদিন অনুপস্থিত ছিলেন বেশ কয়েকজন মন্ত্রী। শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় আসেননি। সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বিধানসভায় এলেও কিছুক্ষণ পরই বেরিয়ে যান। বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীও (Sujan Chakroborty) ছিলেন গরহাজির। কারণ, মঙ্গলবার টেস্টে তাঁর গাড়িচালকের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসার পর তিনি সাবধানতার জন্য হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। অনুপস্থিত ছিলেন শিলিগুড়ির বাম বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্যও। এদিন ঢুকতে দেওয়া হয়নি সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদেরও।

[আরও পড়ুন: করোনা আবহে পরীক্ষা নিয়ে ভিন্নমত, অধ্যাপিকার ‘জাত’ তুলে বেনজির অপমান ছাত্রীর!]

এদিন বিধানসভায় পেশ করা সরকারি রিপোর্টের উপর আলোচনার আবেদন জানান কংগ্রেস পরিষদীয় নেতা আবদুল মান্নান। কিন্তু তা খারিজ হয়ে যায়। হয়নি প্রশ্নোত্তর পর্বও। অধিবেশনের পর বিজেপি বিধায়করা ছোট মিছিল করে বাইরে আসেন। হেমতাবাদের বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের মৃত্যুতে যথাযথ তদন্ত, রাজ্যে নারী সুরক্ষার দাবি তুলে তাঁরা বিক্ষোভ দেখান আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে। আসলে এই অধিবেশন ছিল একেবারেই নিয়মরক্ষা। গত মার্চে বিধানসভার শেষ অধিবেশন হয়। নিয়ম অনুযায়ী, ৬ মাসের মধ্যে অধিবেশন বসিয়ে আইনসভা সচল রাখা হয়। এবার কোভিড পরিস্থিতিতে অনেকটা ব্যতিক্রমী আবহেই আজ হয়ে গেল রাজ্য বিধানসভার একদিনের অধিবেশন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement