অর্ণব আইচ: গলির সিসিটিভি খারাপ, কোনও ফুটেজ মিলবে না। শুনশান গলির অপর প্রান্ত দিয়ে বেরিয়ে দিব্যি বড় রাস্তায় জনতার মাঝে মিশে গা-ঢাকা দেওয়া সম্ভব। এসব জেনেই কি খুনের পরিকল্পনা করেছিল ভবানীপুরে (Bhabanipur) দম্পতি হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত? এই প্রশ্নের উত্তরই আপাতত খুঁজছে পুলিশ (Police)। অশোক শাহ ও রশ্মিকা শাহর মৃত্যুর নেপথ্যে মোটিভ খুঁজতে গিয়ে এসব প্রশ্নের সূত্র হাতড়াচ্ছেন তদন্তকারীরা।
সোমবার ভর সন্ধেবেলা ভবানীপুরের হরিশ মুখার্জি রোড নিজেদের ফ্ল্যাটে খুন হন বৃদ্ধ গুজরাটি দম্পতি অশোক শাহ ও রশ্মিকা শাহ। দু’জনের শরীরে ক্ষতচিহ্ন মেলে। তাঁদের খুন করতে গুলি চলেছে বলে দাবি প্রতিবেশীদের একাংশের। যদিও বিষয়টি এখনও তদন্তসাপেক্ষ। এমন এক হত্যার খবর পেয়ে রাত থেকেই তদন্তে নামে ভবানীপুর থানার পুলিশ। পুলিশ কুকুর দিয়ে তল্লাশি শুরু হয় দুষ্কৃতীদের খোঁজে। এখনও তাদের হদিশ মেলেনি। উপরন্তু বহু প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে জোড়া খুন।
প্রাথমিকভাবে সিসিটিভি ফুটেজ (CCTV Footage) সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করা হয়েছিল। তবে দেখা গেল, ৭৩ বি হরিশ মুখার্জি রোডের যে গলিতে এই ফ্ল্যাট, সেই গলির সিসিটিভি ক্যামেরা বিকল। কোনও ফুটেজ পাওয়া সম্ভব নয়। এলাকা পরিদর্শন করে তদন্তকারীরা বুঝতে পারেন, গলিতে ঢুকে কুকীর্তি করার পর একই পথে নাও বেরতে পারে অপরাধী। সেই রাস্তা আছে। হরিশ মুখার্জি রোড দিয়ে না বেরিয়ে গলির অপর প্রান্ত দিয়ে বেরিয়ে ২৩ পল্লির রাস্তায় উঠে সহজে ভিড়ে মিশে যেতে পারে। এখন প্রশ্ন উঠছে, তবে কি এসব জেনেশুনেই আততায়ী হত্যার পরিকল্পনা ছকেছিল? যাতে খুনের পর সিসিটিভির নজরদারির ফাঁক গলে সহজে গা-ঢাকা দিতে পারে? গলির বাইরের সিসিটিভিতে যে ২ জনকে সন্দেহভাজন হিসেবে দেখা যাচ্ছে, তাদের মধ্যে কেউই কি তবে খুনি নয়? আসল অপরাধী একেবারে বেপাত্তা? তাহলে তাকে জালে আনার রাস্তা কী? এমনই হাজার প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ। সূত্রের খবর, থ্রি ডি স্ক্যানারের সাহায্য নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হতে পারে।
এদিকে, ঘটনার পর দম্পতি ছোট মেয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সবরকম তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন। আগেই তিনি এ বিষয়ে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনকে কড়া হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এবার নিজেই কথা বললেন অভিভাবক-হারা মেয়ের সঙ্গে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.