ছবি: প্রতীকী
অর্ণব আইচ: নাবালক ছাত্রের মৃত্যু ঘিরে সন্দেহ পরিবারের। আর বাড়ির লোকের অভিযোগের ভিত্তিতেই দাহ করার আগে কেওড়াতলা শ্মশান থেকে মৃতের দেহ মর্গে পাঠাল দক্ষিণ কলকাতার নেতাজিনগর থানার পুলিশ। ময়নাতদন্তের পর বোঝা যাবে মৃত্যুর আসল কারণ।
পুলিশ জানিয়েছে, কিছুদিন আগেই নাকতলার বাসিন্দা স্কুলের ছাত্র স্নেহাংশু সেনগুপ্ত (১৭) অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরিবারের লোকেরা তাকে একটি জায়গা থেকে উদ্ধার করে প্রথমে এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু তার শারীরিক অবস্থা ক্রমে অবনতি হয়। তাকে কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসা চলাকালীন শুক্রবার পরিবারের লোকেদের জানানো হয় যে, জীবনযুদ্ধে হার মেনেছে সে। মৃত্যু হয়েছে স্নেহাংশুর। যেহেতু সে অসুস্থ ছিল, তাই পরিবারের লোকেদের হাতে তুলে দেওয়া হয় দেহ। সে সময় ময়নাতদন্তের কোনও প্রসঙ্গ ওঠেনি।
এদিন বিকেলে দেহটি বাড়ি ঘুরে কেওড়াতলা শ্মশানে নিয়ে যান পরিবারের লোকেরা। সেখানে ওই কিশোরের এক আত্মীয়া দেহটি দেখার পরই তাঁর সন্দেহ হয়। তিনি অন্য আত্মীয়দের বলেন, তাঁর সন্দেহ হচ্ছে যে, কিশোরের মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। এর পিছনে রহস্য আছে। এমনকী, মারধর করার পর কিশোর অসুস্থ বোধ করে। এরপরই তাকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল, এমন অভিযোগও তোলা হয়। তারপরই বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ করে পরিবার। কিশোরের পরিজন ও আত্মীয়রা কেওড়াতলা শ্মশান কর্তৃপক্ষকে জানান, দেহটি তাঁরা দাহ করতে রাজি নয়। শ্মশান কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দক্ষিণ কলকাতার টালিগঞ্জ থানাকে জানান।
থানার আধিকারিকরা বলেন, তাঁদের স্থানীয় থানায় এই বিষয়ে অভিযোগ জানাতে। সন্ধের পর পরিবারের লোকেরা নেতাজিনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তারই ভিত্তিতে পুলিশ শ্মশান থেকে দেহটি এনে মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.