সুব্রত বিশ্বাস: লোকসভা ভোটের ফল অনেকটাই হতাশ করেছে। বিধানসভা ভোটের ফলাফলে যাতে তার প্রভাব না পড়ে সেই কারণে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এখন সমস্যা হলেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মাত্র একটি ফোন কল দূরে। সরকারের কাজে কোথায় ফাঁকফোকড় রয়ে গিয়েছে, কোথায় ঠিকঠাক পরিষেবা মিলছে না, জনগণের কাছ থেকে এসব খবর আদায় করতে আদাজল খেয়ে লেগে পড়েছে রাজ্য সরকার। আর দলের এই নতুন ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি সকলের কাছে পৌঁছে দিতে ইতিমধ্যেই দলের নেতা-কর্মীরা নেমে গিয়েছেন ময়দানে। এবার সেই কর্মসূচির প্রচারে দেখা গেল ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব তথা মন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লাকে।
‘দিদিকে বলো’-এর কর্মসূচির অংশ হিসেবে কয়েকদিন ধরেই নিজের এলাকায় প্রচার চালাচ্ছেন রাজ্যের মন্ত্রী লক্ষ্ণীরতন শুক্লা। এলাকার বিভিন্ন বাজার-সহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে কথা বলেন স্থানীয়দের সঙ্গে। পরে রবিবার সকালে জন সংযোগের স্বার্থে লোকাল ট্রেনে উঠে পড়েন মন্ত্রী। মহিলা কামরা থেকে শুরু করে সাধারণ। বিভিন্ন ট্রেনের প্রায় সব কামরায় ঢুঁ মারেন তিনি। কথা বলেন নিত্যযাত্রীদের সঙ্গে। যাকে কার্যত মাঠে দেখেই অভ্যেস, তাঁকে চোখের সামনে দেখতে পেয়ে আবেগ তাড়িত হয়ে পড়েন অনেকেই। সকলেই চেষ্টা করেন একটু কথা বলার।
তবে লক্ষ্মীরতন শুক্লাই নন, ‘দিদিকে বলো’-কর্মসূচি শুরুর পর মিমি চক্রবর্তী থেকে শুরু করে তৃণমূলের একাধিক তারকা সাংসদ নিজেদের এলাকায় প্রচার সেরেছেন। প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গ ও জঙ্গলমহল-সহ রাজ্যের ১৮টি আসনে জিতেছে বিজেপি। কিন্তু কেন এমন হল? উত্তর খুঁজতেই জনসংযোগ আরও নিবিড় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ঘোষণা, আগামী ১০০ দিন ধরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে দশ হাজারেও বেশি গ্রামে যাবেন তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা। বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা, এমনকী এলাকায় দলের কর্মীদের অভাব-অভিযোগ শুনবেন তাঁরা। প্রয়োজনে বুথকর্মীদের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া ও গ্রামেই কোনও কর্মীর বাড়িতে রাত্রিবাসও করবেন শাসকদলের প্রতিনিধিরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.