Advertisement
Advertisement
কলকাতা মেট্রো

ভিড় সামাল দিতে বন্ধ হবে স্মার্ট গেট, পুজোয় নতুন সিদ্ধান্ত মেট্রোর

চতুর্থী থেকেই কার্যকর নতুন নিয়ম।

Metro smart gate will be closed to control crowd during puja
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:October 2, 2019 9:20 am
  • Updated:October 2, 2019 10:12 am  

স্টাফ রিপোর্টার: প্লাবন ঠেকাতে গোড়াতেই বাঁধ। পুজোমুখী কলকাতায় ভিড়ের চাপে নাজেহাল মেট্রোর সামনে আপাতত এটাই দাওয়াই। পুজোর মুখে জনজোয়ারে শুধু রাজপথ নয়, পাতালও টালমাটাল। প্ল্যাটফর্মে ভিড় এমন জায়গায় পৌঁছে যাচ্ছে যে, যখন-তখন বিপর্যয়ের সম্ভাবনায় প্রমাদ গুনছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। সামাল দিতে তাই এবার প্রবেশ নিয়ন্ত্রণের পথে হাঁটতে চলেছে তারা।

মেট্রোর সিদ্ধান্ত, প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষমান যাত্রীদের ভিড় খুব বেশি থাকলে স্মার্ট গেট সাময়িক বন্ধ করা হবে। যাতে আর যাত্রী প্ল্যাটফর্মে নামতে না পারেন। পাতালে জমাট বাঁধা ভিড় হালকা হলে তবেই নতুন যাত্রীদের প্রবেশাধিকার মিলবে। কিন্তু যাঁরা ঢুকতে পারবেন তাঁরা তো টিকিট কাউন্টারের বাইরে ভিড় জমাবেন। সেক্ষেত্রে কী হবে? সে দাওয়াইও রেখেছে মেট্রো। কাউন্টারের সামনে ভিড় বাড়লে যাত্রীদের প্রধান গেটেই আটকানো হবে। মেট্রোর সীমানায় প্রবেশই করানো হবে না। আজ চতুর্থী থেকেই ভিড়ের বহর দেখে নয়া নিয়ম কার্যকর হতে পারে। দ্বিতীয়ার দিনই মেট্রোয় যাত্রী হয়েছে ৮ লক্ষ ৪৫ হাজার।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: ‘বাংলার উৎসবে শামিল হতে এসেছি’, বি জে ব্লকের পুজো উদ্বোধনে বললেন অমিত শাহ ]

তবে যাত্রী-চাপের কথা মাথায় রেখে এবং স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য পুজোর দিনগুলোয় সমস্ত এসি রেক চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। চতুর্থী থেকে ষষ্ঠী সকাল আটটা থেকে পরিষেবা শুরু হবে। অন্তিম স্টেশন থেকে শেষ ট্রেন ছাড়বে রাত ১১টা ১০ পর্যন্ত। অন্যদিকে সপ্তমী থেকে নবমী পর্যন্ত বেলা ১টা থেকে পরদিন ভোর চারটে পর্যন্ত পরিষেবা পাওয়া যাবে। দশমীর দিন ট্রেন চলবে বেলা ১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। টালা ব্রিজে বাস বন্ধে মেট্রোয় যে চাপ বাড়বে তা বিলক্ষণ বুঝছেন মেট্রো কর্তারাও। কিন্তু তা সত্ত্বেও নোয়াপাড়া থেকে মেট্রোর সংখ্যা খুব একটা বাড়ানো সম্ভব নয় বলেই জানানো হয়েছে। এখন যা চলে, পুজোর সময় আপ এবং ডাউন লাইনে দু’টি করে ট্রিপ বাড়ানো হবে।

মঙ্গলবার বিকেলে মেট্রো ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা জানান জেনারেল ম্যানেজার পি সি শর্মা। সেখানেই তিনি জানান, পুজোয় মেট্রোর পরিকল্পনার কথা। বলেন, “মেট্রোর হাতে রেক নেই। থাকলে ট্রিপ বাড়ানো হত। তবে ভবিষ্যতে নোয়াপাড়া থেকে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ধাপে ধাপে আরও ন’টি এসি রেক নামানো হবে। অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দুটো করে মোট ছ’টা। এবং জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত প্রতি মাসে একটা করে। ফলে নন এসি রেক তুলে শুধু এসি ট্রেন দিয়ে তখন যাত্রী পরিষেবা দেওয়া যাবে। নভেম্বর মাস থেকেই ট্রিপ বাড়িয়ে ৩০০ করারও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।” পাশাপাশি পুজোর দিনগুলোয় মেট্রোর রেকে কোনওরকম যান্ত্রিক বিভ্রাট এড়াতে ছ’টি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে সর্বক্ষণের জন্য টেকনিক্যাল স্টাফ রাখা হচ্ছে। দমদম, শোভাবাজার, শ্যামবাজার, এমজি রোড, কালীঘাট, টালিগঞ্জ, মাস্টারদা সূর্য সেন, গীতাঞ্জলি, কবি সুভাষে থাকবেন তাঁরা। অন্যদিকে পরিস্থিতি বুঝে সেন্ট্রাল এবং গিরিশ পার্ক স্টেশনেও লোক থাকবেন। যাত্রী নিরাপত্তায় সাদা পোশাকের পুলিশ, মহিলা পুলিশ ঘুরবেন ট্রেনে। পাশাপাশি মেট্রোর তরফে যাত্রীদের অনুরোধ করা হয়েছে আরও সচেতন হতে। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, কোনওভাবেই জোর করে মেট্রোয় উঠতে যাবেন না। এসকালেটরে ওঠার সময় সতর্ক হোন। এছাড়াও একাধিক প্রচার চালানো হবে। এদিকে দক্ষিণেশ্বর-নোয়াপাড়া পরিষেবা আগামী বছর মার্চ মাস থেকেই শুরু করা হবে বলে জেনারেল ম্যানেজার এদিন জানান।

[ আরও পড়ুন: পুজোর আগে সুখবর, বাড়ছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের পেনশন ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement