Advertisement
Advertisement
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো

‘নিয়ম মেনে আমন্ত্রণ করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে’, রাজ্য সরকারের দাবি খারিজ মেট্রো কর্তৃপক্ষের

নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা রেলের আধিকারিকদের।

Metro railways department denies invitation controversy
Published by: Sayani Sen
  • Posted:February 13, 2020 3:13 pm
  • Updated:February 13, 2020 3:24 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর মাত্র কিছুক্ষণের প্রতীক্ষা। ৩৬ বছর পর শহরে ফের দৌড় শুরু হবে মেট্রোর। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো ছুটবে নিজের গতিতে। তবে প্রায় শেষ মুহূর্তেও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ নিয়ে জটিলতা অব্যাহত। মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ করা হয়নি, এই দাবি ওড়াল মেট্রো রেল। কর্তৃপক্ষের দাবি, বুধবার নবান্নে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছিল। তবে তাতে রাজ্যের তরফে কোনও সাড়া মেলেনি।

নানা জটিলতার জন্য বারবার পিছিয়ে গিয়েছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের উদ্বোধন। অবশেষে বৃহস্পতিবার মেট্রো প্রকল্পের উদ্বোধনের কথা। আপাতত সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে স্টেডিয়াম পর্যন্ত চলবে মেট্রো। উঠলেই ৫টাকা দিয়ে চড়া যাবে মেট্রো। ২০ মিনিট অন্তরই মিলবে পরিষেবা। তবে পরিষেবা চালুর আগেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর তৈরি হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানায়নি রেল কর্তৃপক্ষ। সেই নিয়েই বিতর্কের সূত্রপাত। আমন্ত্রিতের তালিকায় সংশ্লিষ্ট লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার, বিধাননগরের বিধায়ক সুজিত বসু এবং পুরসভার মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তীর নাম থাকলেও মুখ্যমন্ত্রীর নাম নেই। তাতেই চটেছে রাজ্য।

Advertisement

সরকারি তরফের বক্তব্য, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো তো শুরু রাজ্য আর কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের সম্মিলিত প্রকল্প ছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন ২০০৯ সালে রেল সেটি অধিগ্রহণ করে। কাজও শুরু হয়েছিল জোরকদমে। অথচ ১১ বছর পর সেই প্রকল্পের উদ্বোধনের দিনই আমন্ত্রণপত্রে তাঁর নাম বাদ দেওয়াকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করছে রাজ্য। অতিথি হিসাবে রয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়রও। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাদের তরফে কোনও প্রতিনিধি থাকবে না।

[আরও পড়ুন: ঘরজুড়ে শুধু সাপ আর সাপ! ফ্ল্যাট কিনে পালালেন বেহালার দম্পতি]

যদিও মেট্রোর ব্যাখ্যা, রেলের নিয়ম মেনেই আমন্ত্রণপত্র তৈরি হয়েছে। তাদের প্রচলিত রেওয়াজকেই সামনে তুলে ধরেছে মেট্রো। তাদের যুক্তি, রেলের নিয়ম মেনেই স্থানীয় সংসদ, বিধায়ক এবং মহানাগরিককে মঞ্চে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ করা হয়েছে। এক সময় প্রকল্পের যাত্রাপথ নিয়ে তৈরি হয়েছিল জটিলতা। রাজ্যের সহায়তায় সেই প্রকল্প গতি পায়। হাওড়া ময়দান থেকে শুরু হয়ে গঙ্গার নিচ দিয়ে মেট্রোর লাইন সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত যাবে। কিন্তু কখনও জমি সমস্যা, কখনও পুনর্বাসন সমস্যায় ধাক্কা খেয়েছিল প্রকল্প। তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই এগিয়ে এসে সমস্যার সমাধান করেছিলেন। এমনকী প্রকল্পের রুটও ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তারপরও বৃহস্পতিবারের অনুষ্ঠানে তাঁকে না ডাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে।

রাজনৈতিক মহলের মতে, আমন্ত্রণ নিয়ে জটিলতাই আবার ২০০৯ সালের টালিগঞ্জ থেকে গড়িয়া পর্যন্ত মেট্রো সম্প্রসারণের অনুষ্ঠানের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। সেই সময় রেলমন্ত্রী ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। দু’পক্ষের বিবাদ জিইয়ে রেখে ওই অনুষ্ঠানে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। সেই কৃতকর্মের ফলই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভুগতে হচ্ছে বলেও দাবি অনেকের।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement