নব্যেন্দু হাজরা: যেমনটা আছে বালি-ব্যান্ডেল লোকাল, তেমনই এবার নিউ গড়িয়া থেকে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় বিশেষ ট্রেন চালানোর প্রস্তাব মেট্রোর। ক্যানিং, লক্ষ্মীকান্তপুর,বারুইপুরের যাত্রীরা যাতে কবি সুভাষ স্টেশনে মেট্রো থেকে নেমে লোকাল ধরতে পারেন সেকারণেই নয়া এই পরিকল্পনা। ইতিমধ্যেই পূর্ব রেলকে বিষয়টি চিঠি দিয়ে জানানোও হয়েছে মেট্রোর তরফে। এর ফলে যেমন যাঁরা কবি সুভাষ থেকে মেট্রো ধরবেন, তাঁরা ‘নিউ গড়িয়া লোকালে’ এসে নেমে যেতে পারবেন। শিয়ালদহগামী ভিড় ট্রেনে উঠতে হবে না। তেমনই বাড়ি ফেরার পথেও কবি সুভাষে নেমে সেখান থেকেই বিশেষ এই লোকাল ধরতে পারবেন।
রেল সূত্রে খবর, নিউ গড়িয়া স্টেশন থেকে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় একটা তৃতীয় লাইন রয়েছে। সেই লাইন দিয়েই নতুন এই পরিষেবা শুরুর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে অন্য দুই লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল করতে কোনও সমস্যা হবে না। আর যাত্রীদের ভিড়ের ঝক্কিও কমবে। তবে এখনই এই লাইন দিয়ে নয়া পরিষেবা শুরু হবে কিনা, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। মেট্রোর এই প্রস্তাব ভেবে দেখা হচ্ছে পূর্ব রেলের তরফে। মেট্রোর দাবি, এই পরিষেবা চালু হলে মেট্রোয় যাত্রী সংখ্যাও অনেক বাড়বে। আর যাত্রীরাও অনেক স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়াত করতে পারবেন। মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মেট্রোর তরফে ইতিমধ্যেই এই প্রস্তাবের কথা চিঠির মাধ্যমে পূর্ব রেলকে পাঠানো হয়েছে। পূর্ব রেল বিষয়টি বিবেচনা করে আমাদের জানাবে।”
এর আগেও যাত্রীদের পক্ষ থেকে এই ধরনের প্রস্তাব এসেছিল রেলের কাছে। কারণ বাড়ি ফেরার পথে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় এতটাই ভিড় থাকে যে, নিউ গড়িয়া থেকে ট্রেনে ওঠাটাই দায় হয়ে দাঁড়ায়। অথচ এই শাখার কয়েক হাজার যাত্রী রোজ অফিসে যাতায়াত করেন মেট্রোয়। তাঁরা অফিস যাওয়ার পথে নিউ গড়িয়ায় নেমে কবি সুভাষ থেকে মেট্রো ধরে গন্তব্যে পৌঁছান। আবার একই ভাবে বাড়ি ফেরেন। অথচ ভিড়ের চাপে তাঁদের অনেক সময়ই কবি সুভাষে দাঁড়িয়ে ট্রেন ছাড়তে হয়। উঠতে পারেন না। সেই সমস্যা চোকাতেই নয়া ভাবনা। বস্তুত, এই শাখায় থার্ড লাইন তৈরি হয়ে গেলেও তা দিয়ে ট্রেন চলে না। এক্ষেত্রে এই লাইনটিকে ব্যবহার করেই নতুন পরিষেবা শুরু করা যাবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.