সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুড়ঙ্গের ১০ টি ছিদ্র বন্ধ করা গেলেও বাকি একটি নিয়ে বেজায় বিপাকে পড়েছিল মেট্রো কর্তৃপক্ষ। অবশেষে দীর্ঘ চেষ্টার পর সেই ছিদ্রটি বন্ধ করতে সক্ষম হলেন KMRCL-এর কর্মীরা। বর্তমানে আর কোথাও থেকে জল বেরচ্ছে না। তবে অন্য কোথাও ফুটো রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বউবাজারে মেট্রোর টানেলের তলায় জয়েন্ট বক্স বসানোর জন্য ২৯ মিটারের কংক্রিটের স্ল্যাব তৈরি করা হয়েছে আগেই। বাকি ছিল ৯ মিটারের কাজ। সেই বাকি অংশের কাজ করার সময় দক্ষিণ-পশ্চিম কোণ থেকে জল বেরতে শুরু করে। ১১ টি জায়গা থেকে জল বেরনোয় ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয় দুর্গা পিতুরি লেনের। বেশ কিছু বাড়িতে ফাটল ধরে যায়। ২০১৯ সালের স্মৃতি মনে করে তড়িঘড়ি বাড়ি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় বাসিন্দাদের। আটকে দেওয়া হয় ওই এলাকা। তড়ঘড়ি বন্ধ করা হয় ১০ টি ছিদ্র। কিন্তু একটি ছিদ্র বন্ধ করতে পারছিলেন না KMRCL-এর কর্মীরা। সেখান থেকে অনবরত জল বেরহচ্ছিল। অবশেষে সেই ছিদ্রটি বন্ধ করতে সক্ষম হলেন মেট্রো কর্মীরা। বিপর্যয়ের পর মেট্রোর কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। শুক্রবার কেএমআরসিএলকে (KMRCL) নিয়ে পুরভবনে বৈঠকে বসবেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
স্থানীয় কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে বলেন, মেট্রোর কাজে এখানে অধিকাংশ বাড়ির অবস্থা খারাপ। তার উপর বারবার একই ঘটনা ঘটছে। মেট্রো চালু হলে ফের বাড়িগুলির ক্ষতি হতে পারে। তাই একটা উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা দরকার। যদিও পুরসভা আর কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না।
বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firad Hakim) ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলি রাখা কতটা নিরাপদ তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। মেয়র বলেন, “এখানে বাড়িগুলি পুরনো। ইটের ভিত দিয়ে তৈরি। পাইলিং নেই। মাটি সরে গেলে এই বাড়িগুলি বসে যায়। এইসব বাড়ি আদৌ রাখা সম্ভব কি না, তা ঠিক করতে একটি কমিটি গঠিত হয়েছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.