ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের মেট্রো বিভ্রাটের শিকার নিত্যযাত্রীরা। দিন কয়েক আগে দরজা খোলা রেখেই ছুটেছিল মেট্রো। এবার স্টেশন আসার পরও খুলল না দরজা। একই দিনে পরপর দুটি ট্রেনের ক্ষেত্রে একই ঘটনা ঘটল। প্রথমটি নেতাজি ভবনে, দ্বিতীয়টি যতীন দাস পার্কে। ঘটনায় কিছুক্ষণের জন্য মেট্রো চলাচল বন্ধ থাকে। এখন আবার স্বাভাবিক হয়েছে পরিষেবা।
শনিবার দমদম থেকে নিউ গড়িয়াগামী একটি মেট্রোয় ঘটনাটি ঘটে। ট্রেনটি নেতাজি ভবন স্টেশনে থামার পর দেখা যায় খোলেনি ট্রেনের দরজা। সঙ্গে সঙ্গে ট্রেন থেকে নামিয়ে দেওয়া হয় নিত্যযাত্রীদের। ট্রেনটি ফাঁকা করে দেন নিরাপত্তারক্ষীরা। ঘটনায় প্রায় ১৭ মিনিট ডাউন লাইনে বিঘ্নিত হয় মেট্রো চলাচল। পরের মেট্রোয় গন্তব্যস্থলে রওনা দেন যাত্রীরা। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই একই ঘটনা ঘটল যতীন দাস পার্কে। স্টেশনে ট্রেনটি থামার পর বন্ধই হল না দু’দিকের দরজা। প্রথম ঘটনার আধ ঘণ্টার মধ্যেই আরও একটি বিভ্রাট মেট্রোয়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন যাত্রীরা।
একের পর এক এভাবে মেট্রো নিয়ে সমস্যা হওয়ায় প্রশ্ন উঠছে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। কয়েকদিন আগে দরজা খোলা রেখেই ছুটেছিল মেট্রো। দমদম কারশেড থেকে স্টেশনে ঢোকার পরেই ট্রেনে হুড়মুড়িয়ে উঠে পড়েন যাত্রীরা৷ কিন্তু গেট বন্ধের সময় ধরা পড়ে যান্ত্রিক ত্রুটি৷ দেখা যায়, পাঁচ নম্বর রেকের একটি দরজা বন্ধ করা যাচ্ছে না৷ মেট্রোর কর্মী ও টেকশিয়ানদের অনেক চেষ্টাতেও, সেই ত্রুটি ঠিক হয় না৷ এরপরই ওই রেকের মধ্যে আরপিএফ জওয়ানদের মোতায়েন করা হয়৷ এবং তাঁদের নিরাপত্তায় রেকটি ছাড়ে মেট্রো কর্তৃপক্ষ৷
ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয় যাত্রীদের একাংশের মধ্যে৷ এদিনও যাত্রীরা বিক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠেন। দিন দিন মেট্রো যাতায়াত যেভাবে দুর্বিসহ হয়ে উঠছে, তার বিরুদ্ধে সুর চড়ায় সাধারণ মানুষ৷ কারণ এর আগে মেট্রোয় হাত আটকে মৃত্যু হয় এক যাত্রীর। তার কিছুদিন পর এক যাত্রী ট্রেনে উঠে দরজা বন্ধ হওয়ার আগেই ছেড়ে দেয় ট্রেন। তারপর দরজা খোলা অবস্থায় ছোটে মেট্রো। আর এবার বন্ধ দরজাই খুলল না। স্বাভাবিকভাবেই নিত্যযাত্রীরা মেট্রোয় ওঠা নিয়ে এখন আতঙ্কে ভুগছেন। অন্যদিকে মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কেন এভাবে বারবার দুর্ঘটনা ঘটছে। তা তারা খতিয়ে দেখছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.