স্টাফ রিপোর্টার: গরমের হাঁসফাঁস নেই। লাগাম পড়েছে তাপমাত্রায়। এর উপর বৃষ্টির পূর্বাভাস। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, পর্যাপ্ত পরিমাণ বৃষ্টি হলে, তাপমাত্রা কমতে পারে আরও কিছুটা।
ভরা হেমন্তে বৃষ্টির মূলে রয়েছে বাংলাদেশের উপরে থাকা ঘূর্ণাবর্ত। দোসর উত্তরপ্রদেশ থেকে ছত্তিশগড় পর্যন্ত বিস্তৃত নিম্নচাপ অক্ষরেখা। যার প্রভাবে আজ, সপ্তাহ শুরুর দিন সোমবার কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তুলনামূলকভাবে বেশি বৃষ্টির পূর্বাভাস উত্তরবঙ্গে।
[কলকাতাকে টেক্কা জেলার, বিশ্বের দীর্ঘতম আলপনায় সেজে উঠল ফুলিয়া]
তাহলে কি বৃষ্টির হাত ধরে বঙ্গে পা রাখতে চলেছে শীত? হাওয়া অফিস অবশ্য ততটা আশাবাদী নয়। দপ্তরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস জানিয়েছেন, বৃষ্টির ফলে তাপমাত্রা কিছুটা নামতে পারে। যার জেরে শীত-শীত ভাব অনুভূত হবে। তবে ওইটুকুই। পাকাপাকি শীতের আমেজ পেতে দক্ষিণবঙ্গবাসীকে অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুদিন।
হাওয়া অফিস যাই বলুক না কেন, গত কয়েকদিন ধরেই হালকা শীতের পরশ মিলেছে। সকালে টাটকা কুয়াশার হিমেল পরশ পেয়েছে শহরবাসী। শহরতলি অবশ্য মুড়ে গিয়েছে কুয়াশার চাদরে। জলেও শিরশিরানি। বেলা গড়াতে টান দিয়েছে চামড়ায়। মোদ্দা কথা, অক্টোবরেই শীতের যাবতীয় উপসর্গ হাজির কলকাতায়। এ পরিস্থিতিতে অনেকে তাই বলতে শুরু করেছে, পুজোর মতো এবং শীতও সময়ের আগে উপস্থিত বাংলায়।
আসলে শীত নির্ভর করে উত্তুরে হাওয়ার উপর। উত্তুরে হাওয়ার গতি যত বাড়বে রাজ্যে শীতের দাপটও তত বাড়বে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, নিম্নচাপ বা ঘূর্ণাবর্তের জন্য গোসাঘরে খিল দেয় উত্তুরে হাওয়া। সমুদ্র থেকে গরম হাওয়া ঢুকে স্থলভূমির উত্তাপ বাড়ায়। এমনই পরিস্থিতির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। যদিও এখানে নয়, থাইল্যান্ডের কাছে গালফ অফ সিয়ানে। আগামী ১ নভেম্বর সেখানে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে বলে মনে করছে আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। তার প্রভাব রাজ্যের পূর্ব উপকূলে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
[৯৬ বছরের বৃদ্ধাকে তালাবন্দি করে আন্দামান ভ্রমণে ছেলে]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.