ছবি: প্রতীকী।
স্টাফ রিপোর্টার: কলকাতা থেকে কাশ্মীরের দুরত্ব কতটা? জানা না থাকলে অঙ্ক কষতেই হবে। তবে ঘটনা হল আচমকাই কাশ্মীরের বরফ শীতল ঠান্ডা হাওয়া সটান হাজির মহানগরীর দরজায়। ফল যা হওয়ার তাই স্লগওভারে আবারও দাপুটে ব্যাটিং শুরু শীতের। তার জেরে জবুথবু মহানগর-সহ দুই চব্বিশ পরগনা। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য বলছে, মঙ্গলবার সকালে কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কম। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বেশ কয়েকটা বাধা টপকে কাশ্মীরের উত্তুরে হাওয়া কীভাবে এবং কলকাতা বা দুই চব্বিশ পরগনায় হাজির হল তা অবশ্য খোলসা করতে চাননি আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের আধিকারিকরা। বরং মুচকি হেসে বলেছেন, “এমনটা হামেশাই হয়। আমরা জানতে পারি না।” একধাপ এগিয়ে আরও এক আধিকারিক বলেছেন,“আসলে কয়েকদিনের জন্য শীত ফিরে এসেছে। সেটাই বড় কথা। হাওয়ার গতিবিধি না জানা থাকলে এটা বোঝা কিছুটা কঠিন।” বোঝা গেল শীত ফিরে এসেছে স্বমহিমায়।
পরের প্রশ্ন কতদিন থাকবে এমন শীতের রাজত্ব? ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, “ধরুন আরও তিনদিন এমন ঠান্ডা হাওয়া বয়ে যাবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলার উপর দিয়ে। ফলে শৈত্যাবস্থা জারি থাকবে।” আসলে ফি বছর জানুয়ারির মাঝবরাবর কাশ্মীরে জোরালো হাওয়া বয়ে যায়। সেই হাওয়া আসে আরও দূরের আফগান সীমান্ত থেকে। এবছর পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে মাঘের শুরুতেই বিদায় নিয়েছিল শীত।
আবহবিদদের দাবি, আসলে সূর্যের উত্তরায়ণের কারণেই এক ধাক্কায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে। যার ফলে রীতিমতো ঘাম হচ্ছিল দিনের বেলায়। খানিকটা তাপমাত্রা কমায় বেশি রাতে কিছুটা শীত মালুম হচ্ছিল। তবে তা সামান্য। মাঘের গোড়ায় ঠান্ডার যে ছোবল থাকার কথা, এবার তার ছিটেফোঁটাও ছিল না। পরপর পশ্চিমি ঝঞ্ঝা ঢোকায় উত্তুরে হাওয়া বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার কারণেই ঠান্ডা পড়ছিল না। তবে এবার ফের সে কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.