স্টাফ রিপোর্টার: টানা কয়েকদিনের হাড় কাঁপানো শীতের পর সোমবার থেকে ঠান্ডার প্রকোপ কিছুটা কমবে। ফলে বর্ষশেষে শীতে জবুথবু হতে হবে না শহরবাসীকে। এমনই পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। জানা গিয়েছে, গত দু’দিনের থেকে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়বে। আগামিকাল এবং বছর শুরুর দিনও তা-ই হবে। যদিও থাকবে মেঘলা আকাশ। তবে ২ জানুয়ারি বৃষ্টিও হতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে সে যা-ই হোক, বর্ষশেষে রাজ্যবাসী কাঁপুনি ধরা থেকে বিরত থাকবেন। উইন্টার ফ্যাশনের জ্যাকেট চাপিয়েই পার্টিতে মজতে পারবেন যে কেউ।
রবিবার আলিপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১.২ ডিগ্রি। আগামী দিনচারেকে সেই তাপমাত্রা ১৪তেও এসে ঠেকতে পারে। যে সমস্ত জেলায় শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছিল তা-ও আবহাওয়া দপ্তরের তরফে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। সপ্তাহশেষে পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোয় পারদ নেমেছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে। রাতে পারদ আরও নেমেছে। সঙ্গে কনকনে শীতল উত্তুরে হাওয়া। সেই হাওয়ার দাপটও আজ থেকে কমবে। ফলে সোমবার থেকেই তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়বে।
গত বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার মাঝারি বৃষ্টি হয়েছিল দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। তবে শুক্রবার বেলা বাড়ার পর কমে বৃষ্টির প্রকোপ। চলতি বছরের শেষ কয়েকদিন আর বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছে আলিপুর। তবে নতুন বছরের শুরুতেই বৃষ্টি হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। আলিপুর হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, ২ তারিখ বাড়বে বৃষ্টির পরিমাণ। সেদিন দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বাকি জেলাগুলোয় মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। ৩ তারিখ সকাল পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তারপর বেলা বাড়লে বৃষ্টির পরিমাণ কমতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। দক্ষিণবঙ্গের মতো বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়ও।
শনিবার ছিল মরশুমের শীতলতম দিন। এদিকে বছর শুরু হতেই পশ্চিমি ঝঞ্ঝার প্রকোপ বাড়বে। কাশ্মীর দিয়ে তা ঢুকবে। ঝঞ্ঝার প্রকোপ দিন তিনেক থাকবে। শুধু কলকাতা বা গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে নয়, তীব্র শীত পড়েছে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম ভারতেও। ঠান্ডায় ১৯০১ সালের রেকর্ড ভেঙে দিয়ে দিল্লিতে শনিবার তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.