রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: সামনে একুশের লড়াই। তাই দ্বন্দ্ব, অভিমান ভুলে একসঙ্গে লড়াইয়ের প্রস্তুতি শুরু করছে বঙ্গ বিজেপি। আজ থেকে দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) বাড়িতে বসছে বিধানসভা ভিত্তিক সাংগঠনিক স্তরের বৈঠক। যেখানে থাকছেন মুকুল রায়, কৈলাস বিজয়বর্গীয়ও। বৈঠক চলবে পাঁচদিন। এর আগে দিল্লিতে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বকে ডেকে বৈঠক করেছিলেন অমিত শাহ, সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। সেখানেই বার্তা দেওয়া হয়েছিল, একুশে বাংলা দখলের লক্ষ্যে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। তারপরই দিলীপ ঘোষের বাড়িতে এই বৈঠকের আয়োজন।
দিল্লির বৈঠকে মুকুল রায়ের (Mukul Roy) অনুপস্থিতি নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল বিস্তর। মাঝপথে তিনি কলকাতায় ফিরে এসে জানিয়েছিলেন, চিকিৎসার কারণে ওই বৈঠকে পুরোপুরি থাকতে পারেননি। এরপর দলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরি হচ্ছে কি না, তার ময়নাতদন্তও শুরু হয়েছিল সংশ্লিষ্ট মহলের বিশেষজ্ঞদের তরফে। সেসব উড়িয়ে কখনও দিলীপ ঘোষ, কখনও মুকুল রায় নিজেরাই বিবৃতি দিয়েছিলেন, কোথাও কোনও দ্বন্দ্ব নেই। সবাই একসঙ্গেই কাজ করছে।
সোমবারই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই মন্তব্য করেছিলেন মুকুল রায়। আর মঙ্গলবার তাঁকে দেখা গেল রাজারহাটে দিলীপ ঘোষের বাড়ির সামনে গাড়ি থেকে নামতে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, আসলে অন্তর্দ্বন্দ্ব নেই, তা প্রমাণে এখন মরিয়া বঙ্গ বিজেপি। তাই এদিনের বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন রাহুল সিনহাও। থাকছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অরবিন্দ মেননরা।
সূত্রের খবর, কলকাতার বৈঠকে ১৫০টি বিধানসভা কেন্দ্রের সাংগঠনিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে। মঙ্গলবারের আলোচনায় থাকছে হুগলি, হাওড়া, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া। সেখানকার জেলা সভাপতি, পর্যবেক্ষকরা উপস্থিত থাকছেন। নিজেদের শক্তি যাচাইয়ের পাশাপাশি শাসকদলের পরিস্থিতির দিকেও নজর রাখছে বিজেপি নেতৃত্ব। ১৯, ২২, ২৩, ২৪ তারিখও অন্যান্য বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে পর্যালোচনা হবে। প্রয়োজনে, সেখানকার স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সেও কথা বলতে পারেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, অরবিন্দ মেননরা। দিল্লির পর কলকাতায় দ্বিতীয় দফা বৈঠকে একুশের নির্বাচনী লড়াইয়ের ব্লু-প্রিন্ট তৈরি হয়ে যাবে বলে মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.