সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিটফান্ড কাণ্ডে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। কিন্তু অসুখের কবল থেকে মুক্তি মিলছে না। বস্তুত জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর থেকেই একরকম শয্যাশায়ী সাংসদ অভিনেতা তাপস পাল। আজ, শুক্রবার তাঁর চিকিৎসার জন্য বৈঠকে বসছে মেডিক্যাল বোর্ড।
[ ‘ভুল করেছি’, গোটা দেশের কাছে ক্ষমা চাইলেন জামিনে মুক্ত তাপস পাল ]
ভুবনেশ্বর থেকে যখন তিনি ছাড়া পান, তখন দৃশ্যতই অসুস্থ তাপস। ভাঙা ভাঙা গলায় বলেওছিলেন, কলকাতায় ফিরে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়েই তবে অভিনয় ও রাজনীতিতে ফেরার কথা ভাববেন। গত মঙ্গলবার রাতে শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ডাঃ শুদ্ধকল্যাণ পালের অধীনে তাঁকে ভরতি করা হয়। হাসপাতালের সিইও প্রদীপ ট্যান্ডন জানিয়েছেন, ডায়াবেটিসের কারণে সাংসদ নিউরোপ্যাথির শিকার হয়েছেন। হাঁটাচলা করতে পারছিলেন না। তাছাড়া ডায়াবেটিস জনিত অন্য সমস্যাও রয়েছে। তৃণমূল সাংসদের চিকিসায় ইতিমধ্যে মেডিক্যাল বোর্ডও গঠন করা হয়েছে। তাতে নিউরোলজিস্ট, কার্ডিওলজিস্ট, এন্ডোক্রিনোলজিস্ট, নেফ্রোলজিস্ট, জেনারেল ফিজিশিয়ানদের রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাঁরা একপ্রস্থ পরীক্ষা-নীরিক্ষা করেছেন তাপসবাবুকে। বেশ কিছু টেস্টও করা হয়েছে। সেই রিপোর্ট নিয়ে আজ শুক্রবার বৈঠকে বসছে মেডিক্যাল বোর্ড। তবে প্রদীপবাবু জানিয়েছেন, আগের থেকে অনেকটা ভালই আছেন তাপসবাবু।
[ ভাতে মারল রেল, হাওড়া স্টেশনের ভেন্ডিং স্টলে বন্ধ খাবারের জোগান ]
২০১৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর রোজভ্যালি কাণ্ডে গ্রেপ্তার হওয়ার ১৩ মাস পর গত ১ ফেব্রুয়ারি তাঁর জামিন মঞ্জুর করে কটকের আদালত। ১ কোটি টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পান তিনি। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে হাজতবাসের বেশিরভাগ সময়টাই তাঁর কাটে ভুবনেশ্বরের হাসপাতালের বেডে। গত রবিবার ভুবনেশ্বরের হাসপাতাল থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে যাওয়ার আগে সংবাদমাধ্যমের কাছে কার্যত ভেঙেই পড়েন সাংসদ-অভিনেতা। জানান, ‘ভুল করেছি, অন্যায় হয়ে গিয়েছে। গোটা দেশবাসীর কাছে কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।’ ২০০০ সালে রাজনীতির জগতে পা রেখেছিলেন টলিপাড়ার ডাকসাইটে অভিনেতা তাপস পাল। তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে বউবাজার ও আলিপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ২ বার বিধায়ক নির্বাচিত হন তিনি। ২০০৯ সালে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে তাপসকে প্রার্থী করে তৃণমূল কংগ্রেস। সাংসদ নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৪ সালেও একই কেন্দ্র থেকে ফের জয়ী হন। কিন্তু, ২০১৬ সালে রোজভ্যালি কাণ্ডে নাম জড়ায় তাপস পালেরও। ওই বছরের গ্রেপ্তার হন বাংলা ছবির একদা জনপ্রিয় নায়ক। তাঁকে ভুবনেশ্বরে নিয়ে যায় সিবিআই। প্রায় একই সময়ে রোজভ্যালি কাণ্ডে উত্তর কলকাতার তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কেও গ্রেপ্তার করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ভুবনেশ্বরে। কিন্তু, কয়েক মাস পর সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জামিন পেলেও, ভুবনেশ্বরে বন্দি জীবন কাটাচ্ছিলেন তাপস পাল। বেশ কয়েকবার তাঁর জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়েছিল আদালত। অবশেষে জামিন মিললেও রোগভোগে এখনও যথেষ্টই কাবু অভিনেতা।
[ শ্বাসনালীতে ছোলা আটকে প্রাণসংশয় শিশুর, বিপণ্মুক্ত করল এসএসকেএম ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.