সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাম না করে তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাকে আক্রমণ করতে গিয়ে টুইটে শালীনতার সীমা লঙ্ঘন করেছিলেন। ঘরে বাইরে চাপের মুখে পড়ে পিছু হটতে বাধ্য হলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম (Md Salim)। চাপের মুখে পড়ে টুইটের বিতর্কিত শব্দ প্রত্যাহার করলেন তিনি।
বুধবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) একটি ছবি পোস্ট করে টুইটারে তিনি লিখেছেন, “সাংসদ ওরফে মাফিয়া ডন কয়লা পাচার থেকে নিয়োগ দুর্নীতির মতো একাধিক অপরাধে অভিযুক্ত নিউইয়র্ক থেকে সেলফি পোস্ট করছেন। দেশ থেকে পালিয়েছেন। আর তাতে সাহায্য করেছেন তাঁর বিজেপির ‘বস’রা।” এরপরই তাঁর সংযোজন, “অসদুপায়ে প্রাপ্ত অর্থ পাচার করতে ১৫ জন বিদেশি ‘পতিতা’র অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হয়েছে।”
নিমেষে সেলিমের ব্যবহার করা ওই অশালীন শব্ধ নিয়ে রীতিমতো বিতর্ক তৈরি হয়ে যায়। ঘরে বাইরে আক্রমণের মুখে পড়েন সেলিম। পার্টির মহিলা ও শ্রমিক শাখার নেতা-নেত্রীদের রোষের মুখে পড়েন সিপিএম (CPIM) রাজ্য সম্পাদক। গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির রাজ্য সম্পাদিকা কনীনিকা ঘোষ কার্যত মহম্মদ সেলিম সচেতন নন বলেই তীব্র কটাক্ষ করেন,”এ সব ক্ষেত্রে মহিলারা যতটা সচেতন, অন্যেরা হয়তো নন।” ডিওয়াইএফআইয়ের যুবনেত্রী থেকে শুরু করে এসএফআইয়ের ছাত্রীরাও সিপিএম রাজ্য সম্পাদকের এমন টুইট নিয়ে আপত্তি তোলেন। তাঁদের বক্তব্য, ‘‘এসব কারণেই এখন অনেকে আমাদের পার্টিকে বিজেপির সঙ্গে পৃথক করে দেখছেন না।” সিটুর রাজ্য সম্পাদক অনাদি সাহুও প্রকাশ্যে স্বীকার করে নেন, ‘‘আমরা সংগঠনের তরফে এই সমস্ত শোষিত-বঞ্চিত মহিলাদের ‘পতিতা’ বলি না, ‘সেক্স ওয়ার্কার’ বলি।” তৃণমূলের তরফেও সেলিমকে আক্রমণ শানানো হয়।
সব চাপের মুখে শেষে নিজের ভুল শুধরে নিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক। দুঃখপ্রকাশ না করলেও মঙ্গলবার সাতসকালে ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে টুইটের ‘ভুল’ শুধরে নিয়েছেন সেলিম। মঙ্গলবার সকালেই সেলিমের ফেসবুক পেজে একটি পোস্টার পোস্ট করা হয়েছে। সিপিএমের অনেক নেতা সেটি ‘শেয়ার’ও করেছেন। সেই পোস্টের দ্বিতীয় অংশে লেখা, “১৫ জন বিদেশি যৌনকর্মীর অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা পাচারে অভিযুক্ত।” অর্থাৎ প্রথম দিনের ব্যবহার করা ‘পতিতা’ শব্দটি তিনি এড়িয়ে গিয়েছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.