ফাইল ছবি
স্টাফ রিপোর্টার: ধরা পড়েছিল চার মাস আগে। ফাটল বাড়তে বাড়তে এখন রীতিমতো পেল্লায় আকার নিয়েছে। ঝুরঝুর করে ঝরছে পলেস্তারা। চুন খসে পড়ছে এখানে সেখানে। বাধ্য হয়েই খালি করে দেওয়া হল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের শতাব্দী প্রাচীন এমসিএইচ বিল্ডিং। সরানো হয়েছে তিনশোরও বেশি রোগীকে।
সোমবার রাত থেকে শুরু হয়েছে রোগীদের নিরাপদ স্থানে সরানো। মঙ্গলবারও শতাধিক রোগীকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হল গ্রিন বিল্ডিংয়ের চার এবং পাঁচতলায়। যদিও মেডিক্যাল কলেজের সুপার ইন্দ্রনীল বিশ্বাস জানিয়েছেন, রোগীদের সরানোর সঙ্গে এমসিএইচ বিল্ডিংয়ে ফাটলের প্রত্যক্ষ কোনও যোগাযোগ নেই।
মাস চারেক আগের ঘটনা। গত অক্টোবরে প্রথম মেডিক্যাল কলেজের এমসিএইচ বিল্ডিংয়ের ফাটল নজরে আসে। বিল্ডিংয়ের একাধিক পিলার থেকে পলেস্তারা খসে পড়তে দেখা যায়। প্রাথমিকভাবে সিমেন্ট দিয়ে রং করে দেওয়া হয় পিলারে। তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। কিন্তু কেন এই ফাটল? একটি নতুন ভবন নির্মাণের জেরেই বিপত্তির শুরু। এমসিএইচ ভবনের পাশে ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য ন’তলা এই নতুন ভবন তৈরি হচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী, বহুতল তৈরি করতে গেলে তার চারধারে লোহার বার লাগানো বাধ্যতামূলক। যাতে মাটি খোঁড়া হলেও কম্পনের প্রভাব আশপাশের কোনও বাড়িতে না পড়ে। কিন্তু, এক্ষেত্রে তা হয়নি। যার জেরেই ফাটল ধরতে শুরু করে নির্মীয়মাণ ভবন লাগোয়া এমসিএইচ বিল্ডিংয়ে। বিষয়টি নজরে পড়ার পর খবর দেওয়া হয় পূর্ত দপ্তরে। কিন্তু ততক্ষণে ক্রমশ চওড়া হতে শুরু করেছে ফাটল।
প্রসঙ্গত, এমসিএইচ বিল্ডিংয়ে ক্রনিক ফিমেল মেডিসিন, হেমাটোলজি, কার্ডিওলজি-সহ একাধিক বিভাগ রয়েছে। রোগীর আত্মীয়রা জানান, মঙ্গলবার এমসিএইচ ভবনে গিয়ে দেখা যায় ছাদ থেকে খসে পড়ছে চাঙড়। এঁকেবেঁকে চিড় ধরেছে দেওয়ালে। প্রাণহানির আশঙ্কায় বন্ধই করে দেওয়া হয়েছে ভবনের একটি শৌচালয়। মেডিসিন বিভাগে ভরতি থাকা রোগীর পরিজন জানান, একতলা ও দোতলার শৌচাগারেও ফাটল দেখা দিয়েছে। ছাদ থেকে সিমেন্টের চাঙড় ঝরে পড়ছে। হাসপাতালের এই পরিস্থিতিতে আতঙ্ক বাড়ছে রোগীদের মধ্যেও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.