অভিরূপ দাস: “সিনেমা করে হাততালি পাওয়ার থেকে মানুষের জন্য কাজ করে লোকের আর্শীবাদ পাওয়া অনেক কাজের।” পুরভোটের মুখে রুপোলি জগতের প্রার্থী প্রসঙ্গে জল্পনা বাড়ালেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তবে কি মিমি চক্রবর্তী, নুসরত জাহান সাংসদ হওয়ার পর পুরভোটের টিকিট তালিকাতেও এবার টলিউডের নায়িকা? মঞ্চে কাউন্সিলর অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে তেমনই ভাবনায় অক্সিজেন দিলেন মহানাগরিক। ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনন্যা প্রাক্তন মিস ক্যালকাটা। এক সময় ছিলেন এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রিতে। সব ছেড়ে এখন তৃণমূল কাউন্সিলর। তাঁকে দেখিয়েই মেয়রের বক্তব্য, “কাজ করার উদ্দীপনা থাকলে তৃণমূলে আসুন।”
শুক্রবার পঞ্চসায়রে বুস্টার পাম্পিং স্টেশন উদ্বোধনে এসেছিলেন মন্ত্রী মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, স্থানীয় কাউন্সিলর অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই মঞ্চে অনন্যাকে ডেকে নেন ফিরহাদ। বলেন, “ওকে দেখুন। একসময় মিস ক্যালকাটা হয়েছিল। টালিগঞ্জে অভিনয় করলে সুচিত্রা না হোক একদিন মুনমুন হতেই পারত। কিন্তু সেসব না করে তৃণমূলে যোগ দিয়েছে। মানুষের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে গ্ল্যামার জগতের সুখ সুবিধা ছেড়ে দিয়েছে। রুপোলি জগতকে উদ্দেশ্য করে মেয়র বলেন, “আমার সিনেমা দেখে লোকে হাততালি দিচ্ছে এতে ভালই লাগে। তবে এমন কিছু করুন যাতে আপনার উন্নয়ন মূলক কাজ দেখে মানুষ আপনাকে আর্শীবাদ করে।” প্রসঙ্গত শেষ পুরভোটেও তৃণমূলের প্রতীকে ভোট লড়েছিলেন কিশোরকন্ঠী এক খ্যাতনামা গায়ক। এবারও সে ট্রেন্ড রেখে কোনও তারকাকে দেখা যেতে পারে ঘাসফুলে।
মেয়রের কথায়, ‘বিভিন্ন সেক্টর থেকে লোকেরা তৃণমূলে আসুক এটাই আমরা চাই। সেলিব্রিটিদের প্রতি তাঁর বার্তা, পাশে ফটোগ্রাফারের ভিড় থাকার চেয়ে আসল হচ্ছে এলাকার মানুষের আর্শীবাদ।’ কথা প্রসঙ্গে নিজেকে নিয়েও রসিকতা করেছেন মেয়র। বলেছেন, “আমি অরূপ আমাদের আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। মিছিল করে করে কালো হয়ে গিয়েছি। সিনেমায় যমদূত ছাড়া অন্য রোল দেবে না।”
দক্ষিণ শহরতলির একাধিক এলাকায় এখনও পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছয়নি। জলকষ্ট নিয়ে বলতে গিয়ে মেয়র বলেছেন, “চল্লিশ বছর ধরে জল পায় না এখানকার মানুষ। আমায় এখন পাইপ বসাতে হচ্ছে। তা করতে গিয়ে অরূপের বাড়ির সামনে রাস্তা ভেঙে দিয়েছি। নতুন বুস্টার পাম্পিং স্টেশন বসার পর গড়িয়া ও তার সংলগ্ন এলাকার জন্য ৫ লক্ষ লিটার জল পাওয়া যাবে।” অজয়নগরে সত্যজিৎ রায় ফিল্ম ইনস্টিটিউটের কাছে এবার ১৮ লক্ষ গ্যালন ক্ষমতা সম্পন্ন একটা ভূগর্ভস্থ জলাধার তৈরি হচ্ছে। সারা যাদবপুরের মানুষের জলকষ্ট মিটে যাবে বলেই আত্মবিশ্বাসী মেয়র। সমগ্র কাজের জন্য ৪৫ কিলোমিটার পাইপ লাইন বসানো হয়ে গিয়েছে। আরও সাড়ে চার কিলোমিটার পাইপ এসে গিয়েছে। খুব শীঘ্রই তা বসে যাবে বলে জানিয়েছেন মেয়র।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.