শপথের পথে স্ত্রী রত্নাকে নিয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায়৷ ছবি: শুভাশিস রায়৷
স্টাফ রিপোর্টার: বৃহস্পতিবারই নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, মন্ত্রী হবেন শোভন চট্টোপাধ্যায়৷ নেত্রী শোভনকে ‘কানন’ নামেই ডাকেন৷ নেত্রী তাঁর ‘কানন’-এর উপর আস্থা রাখেন৷ দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার দায়িত্বও দিয়েছিলেন৷ দলের দায়িত্ব নিয়ে সংগঠনে বদল এনেছেন৷ ৩১টি আসনের মধ্যে ২৯টি দখল করেছে তৃণমূল৷ নেত্রীর আস্থার মর্যাদা রেখেছিলেন তিনি৷
মমতার ঘোষণার পর শুভেচ্ছার বন্যায় ভেসেছেন কানন৷ বহু রাত অবধি মানুষের ভিড় ছিল৷ সেই ভিড়কে উপেক্ষা করতে পারেন না শোভন৷ শুয়েছেন রাত দু’টোয়৷ শুক্রবারও খুব ভোরে ঘুম ভেঙেছে৷ সকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ৷
সেই ঘুম ভাঙা থেকে সময় বেয়ে চলেছে৷ সকালেই চলে যেতে হয়েছিল রেড রোডে৷ তারপর শপথ নিয়েছেন শোভন৷ কিন্তু শপথের পরও শুভেচ্ছায় ভেসে যাওয়া হয়নি৷ সোজা গাড়ি ঘুরিয়ে চলে আসতে হয়েছে কলকাতা পুরসভার কেন্দ্রীয় ভবনে৷ তিনি তো মেয়রও৷ শোভন ফাইলে সই করেছেন৷ একের পর এক ফাইল৷ অম্লান লাহিড়ী ফাইল এগিয়ে দিয়েছেন৷ বৈঠক করেছেন মেয়র পারিষদদের সঙ্গে৷ দেবাশিস কুমার, দেবব্রত মজুমদারদের বুঝিয়েছেন পুরসভাকে ঘিরে কিছু পরিকল্পনার কথা৷ এক ফাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে গিয়েছেন চেয়ারপার্সন মালা রায়৷ বৈঠক হয়েছে পুরসভার কমিশনার খলিল আহমেদের সঙ্গে৷ পুরসভায় নিয়মিত আসতে হবে৷
শোভন এখন আরও ব্যস্ত৷ ব্যস্ততা ছিলই৷ আরও ব্যস্ততা ঘিরে ধরছে৷ আস্হার মর্যাদায় ব্যস্ততা৷ এই ব্যস্ততা তিনি ভালবাসেন৷ তাই শুক্রবারই বেলা চারটে ছুঁতেই চলে যেতে হয়েছে নবান্নে৷ মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক৷ মুখে বলছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে কাউন্সিলর করেছিলেন৷ তিনি যা দায়িত্ব দেন, সেটাই আমি অক্ষরে অক্ষরে পালন করি৷” মমতা তাঁর কাছে মায়ের মতোই৷ শনিবার সকালে আদ্যামায়ের কাছে পুজো দিতে যাবেন শোভন৷
আবাসন, দমকল ও পরিবেশ মন্ত্রী শোভন৷ মেয়র শোভন৷
ছোট লালবাড়ি ও বড় লালবাড়িতে নিয়ম করে যেতে হবে৷ ছুটতে হবে সল্টলেকের পরিবেশ ভবনেও৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.