সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে কলকাতা-সহ গোটা রাজ্যেই ভেঙেছে একাধিক বিদ্যুতের খুঁটি। ছিঁড়েছে তার। তার ফলে আমফানের তাণ্ডবে কার্যত ভেঙে পড়েছিল বিদ্যুৎ পরিষেবা। পাঁচদিন কেটে গেলেও পরিষেবা স্বাভাবিক করতে পারেনি CESC। আর তার জেরে চলছে অবরোধ, বিক্ষোভ। এই পরিস্থিতিতে তাই বেসরকারি বিদ্যুৎ সংস্থাকে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
আমফানের পর পাঁচদিন কেটে গেলেও এখনও অনেক বাড়িতেই আসেনি বিদ্যুৎ। অস্বস্তি যত বাড়ছে, ততই বিক্ষোভে ফেটে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। সোমবারও দফায় দফায় শহরের বিভিন্ন প্রান্তে বিদ্যুতের দাবিতে চলে অবরোধ, বিক্ষোভ। ফিরহাদ হাকিম সোমবার CESC‘র বেশ কয়েকজন আধিকারিকের সঙ্গে কথাও বলেন। তিনি বলেন, “এখনও বহু মানুষ বিদ্যুৎ পাননি। আর কত ধৈর্য ধরব? এনাফ ইজ এনাফ।” এছাড়াও শহরের বিদ্যুৎ পরিষেবা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্বাভাবিক করারও নির্দেশ দেন তিনি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সিইএসসিকে লোকবল বাড়ানোরও পরামর্শ তাঁর। যদিও CESC’র দাবি, আর মাত্র একদিনের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
১৩৩ কিমি বেগে শহরের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে আমফান। তার প্রভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে শহরে। খতিয়ান তুলে ধরে বলেন, “শহরে অন্তত ৫ হাজার ৫০০টি গাছ ভেঙে পড়েছে। ৪, ৭, ৯, ১১, ১২, ১৬ নম্বর বরো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হরিশ মুখার্জী রোড, আলিপুর রোড, এপিসি বোস রোড, ইস্টার্ন বাইপাস রোডে প্রচুর গাছ ভেঙে পড়ে গিয়েছে। পুরকর্মীদের তৎপরতায় রাস্তা অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। আগামী ২-৩দিনের মধ্যে কলকাতা আবারও স্বাভাবিক হবে।” বিপর্যয় সামলে ওঠার পর কলকাতাকে নতুন করে সাজানো হবে বলেও আশ্বাস তাঁর। তবে এবার বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী শহরের একাধিক জায়গায় গাছ লাগানো হবে বলেই জানিয়েছেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.