সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বুঝতে খানিক সময় লাগল। তবে যখন ঠাওর হল হাততালিতে ফেটে পড়ল জনতা। দক্ষিণ শহরতলির জলে ব্যাপক আয়রন। চুল এমনিতেই লাল হয়ে যাচ্ছে। নাজেহাল বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বললেন, আর আয়রন মিশ্রিত জল নয়। এবার শুধু পরিশ্রুত পানীয় জল। এবার কিন্তু চুলে রং করতে পার্লারে যেতে হবে!
এগিয়ে আসছে পুরভোট। শেষ পাঁচ বছরের কাজের খতিয়ান দিতে হচ্ছে কাউন্সিলরদের। কোমর বেঁধে নেমেছে শাসকদলও। মঙ্গলবার দক্ষিণ শহরতলির কায়স্থপাড়ায় নতুন বুস্টার পাম্পিং স্টেশনের উদ্বোধন করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও। সেখানেই সৌন্দর্যায়ন প্রসঙ্গে যাদবপুরের ভুয়সী প্রশংসা করেন মহানাগরিক। বলেন, ‘আগে রাতে স্ত্রীকে নিয়ে ভিক্টোরিয়া ঘুরতে যেতাম। এখন যাদবপুরে আসি। সোজা গাড়ি করে পাটুলি চলে যাই। ফ্লোটিং মার্কেট দেখাই। দু পাশে সাজানো রাস্তা দেখাই।’ বাম আমলে এই যাদবপুরে ঢুকতে যে গা ছমছম করত তাও জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ‘ওই সময়ে যাদবপুরে মিটিং করে ভয়ের চোটে বাড়ি চলে যেতাম।’
বিরোধীদের একহাত নিয়ে মেয়র জানিয়েছেন, অমুক হবে তমুক হবে। বিরোধীদের এমন দৈববাণী শুনতে ভাল লাগে। কিন্তু বাস্তবের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। তবে স্রেফ সৌন্দর্যায়ন নয়, পরিবেশ সচেতনতা নিয়েও চিন্তিত মেয়র। পুরভোটে শাসকদলের ইস্তেহারে কী থাকবে? তারও একটা আভাস দিয়েছেন ফিরহাদ। বলেছেন, ‘শহরের বায়ুদূষণ কমাতেই হবে। খালি জায়গা পেলেই নিমগাছ লাগাব। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি দেবদারু আর নিম গাছে ছেয়ে দেব শহর।’ ভবিষ্যতের পরিকল্পনা নিয়ে মেয়র জানিয়েছেন, খিদিরপুরে মাতৃসদনের পাশে ১০০ শয্যার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি করা হবে। এছাড়াও চেতলায় ৮২ নম্বর ওয়ার্ডে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভবনেই তৈরি হবে ১৬ শয্যার ডায়ালিসিস হাসপাতাল। এমন কল্পতরু ঘোষণা তো পুরভোটের কারণে। বিরোধীদের এই বক্তব্য মানতে নারাজ মহানাগরিক। বরং বলছেন, ‘আমরা সারাবছর পড়াশোনা করি। তাই পুরভোটের আগে চাপ নেওয়ার প্রয়োজন নেই।’
যাদবপুরের বাসিন্দাদের জন্য মেয়র জানিয়েছেন, ‘এখানে বিএলআরও মিউটেশন হতে সময় লাগত। এবার সঙ্গে সঙ্গে হবে। তিন কাঠা জমিতে বিএলআরও মিউটেশন করতেও হবে না। বাড়ি তৈরি করা শুরু করে দিন। পরে ইন্সপেকশনে লোক পাঠাব। যা প্রতিশ্রুতি ছিল সব কাজ হয়নি।’ স্বীকার করেছেন ফিরহাদ। বলেছেন, ‘১০ বছরে ম্যাজিক করা যায় না। তবে এটাও মাথায় রাখতে হবে জয় হিন্দ প্রকল্পে ৩০ মিলিয়ন গ্যালন পরিশ্রুত পানীয় জল দেওয়া হচ্ছিল। নতুন করে আরও ২০ মিলিয়ন গ্যালন পরিশ্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা করেছি। শীঘ্রই গার্ডেনরিচে আরও ২৫ মিলিয়ন গ্যালন পরিশ্রুত পানীয় জল প্রকল্পের উদ্বোধন হবে।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.