অর্ণব আইচ: সরষের মধ্যেই ভূত! জাল পাসপোর্ট তৈরির আসল রহস্য লুকিয়ে রিজিওনাল অফিসে। শুধু নিচুতলার পুলিশ কর্মীদের একাংশ নয়, সে অফিসের কর্মীদের ‘হাতযশে’ই দিনে পাঁচ-সাতটা ভুয়ো নথি আপলোড হয়েছে পোর্টালে। ভেরিফিকেশন পর্বেই আসল কারসাজি হয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের।
বাংলাদেশের অশান্ত পরিস্থিতির মধ্যেই জাল পাসপোর্ট ধরতে দেশজুড়ে অভিযান চলছে। সক্রিয় কেন্দ্র-রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থারা। রাজ্যের উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়ায় চলছে লাগাতার অভিযান। প্রকাশ্যে আসছে নিত্যনতুন তথ্য। তদন্ত এগোতেই স্পষ্ট হচ্ছে, জাল পাসপোর্ট তৈরিতে শুধু ডিআইবি অফিসের পুলিশ কর্মীর একাংশ নন, রিজিওনাল পাসপোর্ট অফিসের ফাঁকফোকরও দায়ী। গোয়েন্দাদের নজরে এবার সেই ফাঁকফোকর।
নিয়মে আছে, পাসপোর্ট সেবাকেন্দ্রে নথি আপলোড হওয়ার আগে ভেরিফিকেশন করা হয়। তারপর তা যায় পাসপোর্ট অফিসে, সেখানে দুদফায় ভেরিফিকেশন হয়। এই পরীক্ষার পর নথি আপলোড হয় পোর্টালে। তারপর আরপিও বা রিজিওনাল পাসপোর্ট অফিসেও ভেরিফিকেশন করে পাঠানো হয় পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য। পুলিশ রিপোর্ট পাঠালে তারপর চূড়ান্তভাবে পোর্টালে তথ্য আপলোড করা হয়।
তদন্তকারী দল মনে করছে, পোর্টালে নথি আপলোডের ক্ষেত্রেও বড় রকমের কারসাজি হয়েছে। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তথ্য আপলোডে কারচুপি হয়েছে। অভিযোগ, যাচাই না করেই দিনে পাঁচ-সাতটা করে ভুয়ো নথি পোর্টালে আপলোড হয়েছে। এর সঙ্গে রিজিওনাল পাসপোর্ট অফিসের একাংশের যোগ রয়েছে। সেই কারচুপির শিকড়ে পৌঁছতে রিজিওনাল পাসপোর্ট অফিসের গত কয়েক মাসের তথ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.