Advertisement
Advertisement

Breaking News

রাজারহাটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, পুড়ে ছাই অন্তত ১০০ ঝুপড়ি

রাত দেড়টা নাগাদ আগুন লাগে।

Massive fire in Rajarhat, over 100 shanties gutted
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:April 17, 2017 9:58 am
  • Updated:October 9, 2019 2:28 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাঝরাতে রাজারহাটে ভয়াবহ আগুনে পুড়ে গেল অন্তত ১০০ ঝুপড়ি৷ নিঃসহায় হলেন অন্তত শতাধিক মানুষ৷ যাঁদের অধিকাংশই কাগজকুড়ানি৷ তবে হতাহতের কোনও খবর নেই। জঞ্জাল ঘেঁটে কাগজ, প্লাস্টিক জোগাড় করে কোনওরকমে জীবন ধারণ করেন তাঁরা৷ রবিবার রাত দেড়টা নাগাদ এই ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। রাজারহাট-নিউটাউন থানা এলাকায় জ্যাংড়া-হাতিয়াড়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়৷ একইসঙ্গে অগ্নিকাণ্ডের পাশাপাশি প্রশ্ন উঠে গেল এই ঘটনার নেপথ্যে স্থানীয় কোনও প্রোমোটার চক্র সক্রিয় রয়েছে কি না? অর্থাত্‍ কোনও প্রোমোটার চক্রের অঙ্গুলিহেলনেই এমন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে কি না৷

[রবিনার ‘মাতর’ নিয়ে কি সত্যিই অখুশি সেন্সর বোর্ড? জোর জল্পনা]

কার্যত সর্বস্ব হারানো এই ঝুপড়িবাসীদের অভিযোগ, ওই এলাকা থেকে তাঁদের সরে যাওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল৷ সল্টলেক-রাজারহাট, নিউটাউন থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে থাকা মাঝেরপাড়ায় প্রোমোটার চক্র সক্রিয় বলেই বাসিন্দাদের অভিযোগ৷ যদিও পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, নিছকই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে৷ কোনও অন্তর্ঘাতের বিষয় স্পষ্ট নয়৷ পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, রাত একটা থেকে দেড়টার মধ্যে আগুন লাগে৷ সাড়ে তিনটে নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে৷ ততক্ষণে অবশ্য ভস্মীভূত হয় ঝুপড়িগুলি৷ কীভাবে এতবড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল তা স্পষ্ট নয়৷ রাত দেড়টা নাগাদ স্থানীয় ক্লাবের পাশে ঝুপড়িবাসীদের একাংশ দেখতে পান, দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে৷ হাতের কাছে যা ছিল তা দিয়েই আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান তাঁরা৷ এর মধ্যেই পুলিশ ও দমকলের অন্তত ৭টি ইঞ্জিন দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে আসে৷

Advertisement

[‘রাজা-নেতা নয়, দেশ গড়ে উঠবে সাধারণ মানুষের হাতেই’]

দমকলের আধিকারিকদের বক্তব্য, প্রচুর পরিমাণে প্লাস্টিকের মতো দাহ্যবস্তু মজুত ছিল ওই ঝুপড়িতে৷ তাই আগুন ছড়িয়ে পড়ে৷ ঝুপড়িবাসীদের একাংশের বক্তব্য, রান্নার গ্যাস লিক করে বা প্রদীপ থেকে আগুন লাগে৷ তবে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের খবর মেলেনি৷ অন্য মত, বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকেই আগুন লাগে৷ স্থানীয় বাসিন্দারা অবশ্য বলছেন, ওই ঝুপড়িবাসীদের অধিকাংশই বাংলাদেশি৷ জ্যাংড়া-হাতিয়াড়া দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান শিবু গায়েন বলেছেন, “স্থানীয় মানুষরাই এই জায়গাটা ভাড়া দেন৷ প্লাস্টিক, কাগজ জমে  রয়েছে৷ প্রশাসন থেকে এগুলি সরানোর জন্য জমির মালিকদের অনুরোধ জানানো হয়েছে৷ সর্বহারাদের সাময়িক পুনর্বাসন দিতে স্থানীয় প্রশাসন তৎপর হয়েছে৷ প্রোমোটার চক্রের অভিযোগও খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷

[প্রধানমন্ত্রীকে বিদ্রূপ শিব সেনার, তুলনা আলেকজান্ডার-নেপোলিয়নের সঙ্গে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement