কলহার মুখোপাধ্যায়, বিধাননগর: বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই কেষ্টপুরের (Kestopur) ভিআইপি রোড সংলগ্ন শতরূপা পল্লির কমপক্ষে ৫০টি ঝুপড়ি এবং ৩১টি অস্থায়ী দোকান। স্থানীয় বাসিন্দা এবং দমকল কর্মী-সহ মোট সাতজন অগ্নিকাণ্ডে জখম হয়েছেন। সর্বস্ব হারিয়ে মাথায় হাত স্থানীয়দের।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, শনিবার রাত ২টো নাগাদ একটি শিশুর কান্না শুনতে পান তাঁরা। কেউ কেউ দৌড়ে যান। দাবি, প্রথমে একটি আসবাবের দোকানে আগুন (Fire) লেগে যায়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন আশেপাশে থাকা দোকানগুলিতে ছড়ি পড়ে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চতুর্দিক। একের পর এক সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হতে শুরু হয়। খবর দেওয়া হয় দমকলে। স্থানীয়দের দাবি, প্রায় ঘণ্টাখানেক দেরিতে দমকলের পনেরোটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ। প্রতিটি দোকানেই কমবেশি দাহ্য পদার্থ মজুত ছিল। তাই আগুনের তীব্রতা ক্রমশ বাড়তে থাকে। এই পরিস্থিতিতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দমকল কর্মীদের যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। আগুন নেভাতে রোবটের সাহায্যও নিতে হয়। ঘণ্টাতিনেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। এদিকে, অগ্নিকাণ্ডে স্থানীয় বাসিন্দা এবং দমকল কর্মী মিলিয়ে মোট সাতজন জখম হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে স্থানীয় এক বাসিন্দার অবস্থা বেশ গুরুতর।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু (Sujit Basu)। দমকল কর্মীদের দেরি করে ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন তিনি। দমকল মন্ত্রী জানান, অগ্নিকাণ্ডের ফলে অস্থায়ী দোকানগুলি পুড়ে গিয়েছে। কার কতটা ক্ষতি হয়েছে সে তালিকা তৈরি হচ্ছে। অনেক বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। তবে সময়মতো আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে এটাই বড় বিষয়।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান স্থানীয় বিধায়ক অদিতি মুন্সিও (Aditi Munsi)। দমকল কর্মীদের তৎপরতার প্রশংসা করেছেন তিনি। অগ্নিকাণ্ডে সর্বহারাদের পাশে থাকার বার্তাও দিয়েছেন তৃণমূলের তারকা বিধায়ক। রবিবার সকাল থেকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া শতরূপা পল্লিতে স্থানীয়দের ভিড়। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া এলাকা থেকে নিজের জিনিস খুঁজেই চলেছেন কেউ কেউ। সর্বস্ব হারিয়ে দিশাহারা স্থানীয়রা। সরকারি সাহায্যের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.