অর্ণব আইচ: থাকতে দেওয়া তো দূর। বাড়ির সামনে গেলেই সকলে সরিতে দিত। সিঁথির (Sinthi) রামলীলা বাগানের বসতি এলাকার একটি বাড়িতে অবশ্য সে সমস্যা ছিল না। তাই তো সদ্যোজাত সাত সন্তানকে নিয়ে ওই টালির বাড়ির সামনেই আস্তানা গেড়েছিল মা সারমেয়। কিন্তু মাত্র কয়েকঘণ্টায় সব শেষ। অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত বসতি এলাকার ওই বাড়িটি। লেলিহান শিখায় পুড়ে ছাই ছোট্ট সাত সারমেয়ও। ধ্বংসস্তূপে সন্তানদের মরিয়া খোঁজ মা সারমেয়র।
সোমবার সকালেই ঘটে যায় দুর্ঘটনা। আচমকা বাড়ি থেকে কালো ধোঁয়া বেরতে থাকে। মুহূর্তের মধ্যে লেলিহান শিখা গ্রাস করে টালির চালের বাড়িটিকে। গ্যাস সিলিন্ডারের মতো দাহ্য বস্তু থাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়তে বিশেষ সময় লাগেনি। পাশের একটি ঘরের একাংশেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রাই আগুন নেভানোর কাজে উদ্যত হয়। খবর দেওয়া হয় দমকলেও। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ২টি ইঞ্জিন। আগুন নেভানো সম্ভব হয়। তবে ঘণ্টাখানেক সময় লেগে যায়। পুড়ে ছাই হয়ে যায় সর্বস্ব। দমকল কর্মীদের প্রাথমিক অনুমান, শর্ট সার্কিটের জেরে ওই টালির বাড়িটিতে আগুন লেগেছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ঘরে থাকা আসবাবপত্র, জামাকাপড় – সবই পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। তেমনই আবার আগুনের লেলিহান শিখায় শেষ হয়ে গিয়েছে সাতটি ছোট ছোট সারমেয়। তারা আগুন লেগে যাওয়ার পর টালির বাড়ি থেকে বেরতে পারেনি। আর স্থানীয়রা যখন বুঝতে পারেন তখন আর তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
অগ্নিকাণ্ডে মাথায় হাত গৃহস্থের। আগুন নিভে যাওয়ার পরই ধ্বংসস্তূপ থেকে সংসারের অবশিষ্ট জিনিসপত্র কুড়োতে ব্যস্ত পরিবারের সদস্যরা। তেমনই আবার ছাইয়ে ভরা বাড়িতেই নিজের সাত সন্ধানের খোঁজ করছে মা সারমেয়ও। আপাতত সর্বহারাদের হাহাকারে ভারী সিঁথির রামলীলা বাগানের আকাশ বাতাস।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.