Advertisement
Advertisement
kolkata

ফের অগ্নিকাণ্ড কলকাতায়, বড়বাজার লাগোয়া চারতলা বাড়িতে বিধ্বংসী আগুন, ধোঁয়ায় ঢাকল এলাকা

দমকলের ৮টি ইঞ্জিন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নেভানোর কাজ করছে।

Massive fire breaks out in Burra bazra area, 8 fire tenders work to control the situation | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:October 4, 2021 11:58 am
  • Updated:October 4, 2021 2:14 pm  

অর্ণব আইচ: সপ্তাহ শুরুর সকালে ফের অগ্নিকাণ্ড কলকাতায় (Kolkata)। সোমবার বড়বাজার লাগোয়া কলুটোলা স্ট্রিটের এক চারতলা বাড়ির দোতলায় আগুন জ্বলে ওঠে সকাল প্রায় ১১টা নাগাদ। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আশেপাশের বাড়িগুলিও কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দমকল সূত্রে খবর। ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে দমকলের ৪ টি ইঞ্জিন পৌঁছয়। পরে পরিস্থিতির ভয়াবহতা বাড়তে থাকলে আরও চারটি ইঞ্জিন সেখানে পৌঁছে কাজ শুরু করে। আনা হয় হাইড্রলিক ল্যাডারও। তাতে উঠে ইঞ্জিনের সাহায্যে জল ছুঁড়ে আগুন নেভানোর কাজ চলছে। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে রীতিমতো হিমশিম দশা দমকল কর্মীদের। ইঞ্জিনের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০তে।

জানা গিয়েছে, পুজোর আগে প্রচুর পরিমাণ বস্ত্র ও অন্যান্য সামগ্রী মজুত করা ছিল কলুটোলা স্ট্রিটের এই চারতলা বাড়িটিতে। সোমবার সকালে আচমকাই তার দোতলায় আগুন লেগে যায়। এবং তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকে। এই মুহূর্তে দমকলের মোট ৮ টি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজ করছে। দমকল কর্মীদের সাহায্যে কাজ করছেন পুলিশকর্মীরা। এছাড়া জল দিয়ে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। সবমিলিয়ে, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: টালা-পলতার ট্যাঙ্কে ঢুকল ডিভিসির ঘোলা জল! কলকাতা ও হুগলিতে পানীয়ের সংকট]

আসলে বড়বাজার (BurraBazar) লাগোয়া এই এলাকা অত্যন্ত ঘিঞ্জি। বাড়িগুলির মধ্যে ফাঁক প্রায় নেই বললেই চলে। আর বেশিরভাগ বাড়ি ব্যবহৃত হয় গুদাম হিসেবে অর্থাৎ জিনিসপত্র মজুত করতে। এই বাড়িটিও তেমনই গুদামঘর হিসেবে ব্যবহার করা হত বলে খবর। দমকলের প্রাথমিক অনুমান, কোনওভাবে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে গিয়েছে। আর ঘিঞ্জি এলাকায় তা সহজেই ছড়িয়ে পড়েছে। গোটা এলাকা ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে।

[আরও পড়ুন: WB By-Election: ‘জো জিতা ওহি সিকন্দর’, ভবানীপুরে বিপুল ভোটে জয়ের পর মমতাকে শুভেচ্ছা তথাগতর]

অগ্নিকাণ্ডের জেরে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা এখনও জানা না গেলেও পুজোর আগে মজুত করে রাখা সামগ্রীর বেশিরভাগটাই আগুনে পুড়ে গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।  তবে পুলিশ সূত্রে খবর, বাড়িটিতে সেই মুহূর্তে কোনও লোক না থাকায় প্রাণহানির খবর মেলেনি। ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছে যান দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। তাঁকে কাছে পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ জানাতে শুরু করেন। মন্ত্রী পরিস্থিতি ঘুরে দেখে সকলকে আশ্বস্ত করেন।  

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement