অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: হাওড়ার মঙ্গলাহাটে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড (Fire)। পুড়ে ছাই প্রায় ২০০০ দোকান। বৃহস্পতিবার রাত প্রায় সাড়ে ১২টা নাগাদ আগুন লাগে মহানগরী লাগোয়া জেলার এই বিখ্যাত বাজারে। স্থানীয়রাই প্রথমে দেখতে পেয়ে খবর দেন দমকলকে। দাউদাউ আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ১৮ টি ইঞ্জিন। তবে প্রাথমিকভাবে আগুন নেভাতে জলসংকট দেখা দিয়েছিল বলে দমকল কর্মীদের অভিযোগ। পরে অবশ্য রাতভর তাঁদের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এখনও পকেট ফায়ার রয়েছে কোথাও কোথাও। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কোটি টাকা লোকসান হয়েছে বলে আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের। মালিকের বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাতের (Sabotage) অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা।
বৃহস্পতিবার রাত প্রায় সাড়ে ১২টা। হাওড়ার (Howrah) বিশাল মঙ্গলাহাটে আচমকাই আগুন লেগে যায়। প্রায় ১২ বিঘা জমির উপর এই মঙ্গলাহাট। দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে সমস্ত দোকান। দমকলের ১৮ টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করলেও জল সংকটের জন্য কাজ ব্যাহত হয়। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, প্রথমে নর্দমা থেকে জল নিয়েই আগুনে নেভানোর কাজ শুরু হয়।পরে হাওড়া হাসপাতালের জল ব্যবহার করেন দমকল কর্মীরা।
রাতভর দমকল কর্মীদের চেষ্টায় ভোরের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে পুড়ে ছাই হয়েছে ২ হাজার দোকান। এখানে বেশিরভাগই জামাকাপড়ের দোকান বলে জানা গিয়েছে। একেকটি দোকানের ভাড়াই ১ থেকে ২ লক্ষ টাকা। সমস্ত এভাবে পুড়ে যাওয়ায় কয়েক কোটি টাকা লোকসানের আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। চোখের সামনে নিজেদের রুটিরুজির সংস্থানকে এভাবে ছাই হতে দেখে মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের। তাঁদের অভিযোগ মালিকের বিরুদ্ধে। অন্তর্ঘাতের অভিযোগ করছেন তাঁরা।
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে সকালেই সেখানে যান তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) অরূপ রায়। তাঁকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান ব্যবসায়ীরা। মালিকের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগও করেন। সকাল ১০টা নাগাদ সেখানে যান দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু (Sujit Basu)। তিনি পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখে আশ্বাস দেন। তবে কোথা থেকে আগুন লেগেছে, তা এখনও অজানা। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী। এত বড় অগ্নিকাণ্ডের খবরে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন মুখ্যমন্ত্রীও। তিনি দমকল মন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছেন, খোঁজখবর নিয়েছেন।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.