ছবি: পঙ্কজ বিশ্বাস
কলহার মুখোপাধ্যায়, বিধাননগর: ভর সন্ধেবেলা দাউদাউ আগুন (Massive Fire) ইএম বাইপাসে। ‘পূর্বাশা’ আবাসন নামে এক বহুতল লাগোয়া বসতিতে মঙ্গলবার সন্ধে নাগাদ আচমকাই আগুন লেগে যায়। সেখান থেকে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের আবাসনটিতেও। প্রথমে জল দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু হিমেল হাওয়ায় আগুনের তীব্রতা আরও বাড়তে থাকায় পরিস্থিতি অনেকটাই প্রতিকূল হয়ে ওঠে। খবর পাঠানো হয় দমকলে। সঙ্গে সঙ্গে দুটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। পরে আরও দুটি ইঞ্জিন যায়। কিন্তু আগুন দাউদাউ করে ছড়িয়ে পড়ায় তা নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে দমকলকর্মীদের। ইতিমধ্যেই ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে বেশ কয়েকটি ঝুপড়ি। অগ্নিকাণ্ডের জেরে দিনের ব্যস্ত সময়ে ইএম বাইপাসের (EM Bypass) যান চলাচল ব্যাহত হয়।
জানা গিয়েছে, সন্ধে নাগাদ বসতিবাসীদের চোখে পড়ে অগ্নিশিখা। তাঁরাই তা নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তা নেভার বদলে ঘিঞ্জি এলাকায় আরও ছড়িয়ে পড়তে থাকে। কিছুক্ষণের মধ্যে পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হয়ে ওঠে যে একে একে দমকলের ১৫ টি ইঞ্জিন সেখানে পৌঁছে কাজে হাত লাগায়। পরিস্থিতির ভয়াবহতা জেনেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। একে একে সেখানে পৌঁছয় নারকেলডাঙা, মুচিপাড়া-সহ চারটি থানার পুলিশ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
তারপর আরও গতি পেয়েছে আগুন নেভানোর কাজ। বসতি এবং লাগোয়া পূর্বাশা আবাসন থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়। আশার বিষয় এটাই যে এত বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর নেই। অনেকেই রাস্তায় ভিড় করে দাঁড়ান। এর জেরে কিছুক্ষণের মধ্যেই বাইপাসে যানচলাচল সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। এরপর বিপদ এড়াতে পুলিশ বাইপাস সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়। আগুনের উৎসস্থল খুঁজে পেতে হিমশিম দশা দমকল কর্মীদের। সেখানকার আগুন নেভাতে না পারলে বিপদ ক্রমশই বাড়বে বলে মনে করছেন তাঁরা। তবে আগুন কীভাবে লাগল, তা কোনওভাবেই আঁচ করতে পারছে না দমকল বিভাগ।
এদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি পরিস্থিতি দেখে দমকল বিভাগের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তারপর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানালেন, পরিস্থিতি ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আসছে। যেসব ঝুপড়ি পুড়ে গিয়েছে, সেসব পুনর্নিমাণ করে দেওয়া হবে। কীভাবে আগুন লাগল কিংবা কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা এখনও বোঝা যাচ্ছে না বলেই তিনি জানালেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.