রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে কলকাতায় প্রচারে এনডিএ’র প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু। তাঁর উপস্থিততেই শুরু হয়ে গেল তৃণমূল-বিজেপি তরজা। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে তৃণমূল (TMC)। এমনকী, শাসকদলের একাধিক জনপ্রতিনিধি দ্রৌপদী মুর্মুর পক্ষে ‘ক্রস ভোট’ করবেন বলেও দাবি করেছেন বিজেপির (BJP) প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি।
মঙ্গলবার দিলীপ দাবি করেছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যশবন্ত সিনহাকে প্রার্থী করে অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছেন। দ্রৌপদী মুর্মুর (Draupadi Murmu) মতো আদিবাসী মহিলা রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হওয়ায় গোটা দেশ আনন্দে। অথচ, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী রাজনীতি করছেন। দিলীপের কথায়, “বিবেকানন্দ বলেছিলেন, শূদ্রের উত্থান হলে দেশের উত্থান হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) সেই কাজটাই করছেন। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, আগে জানলে সমর্থন করতাম। মজার ব্যাপার হল, উনি আগেই প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছেন। দলের ভাইস প্রেসিডেন্টকে প্রার্থী করেছেন।”
বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির কটাক্ষ, “যশবন্তকে (Yashwant Sinha) প্রার্থী করে অপদস্থ করছে তৃণমূল। তাঁর মনোনয়নের সময় মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন না। তিনি দেশের সব রাজ্যে প্রচারে যাচ্ছেন, অথচ এরাজ্যে প্রচারে আসতে দেওয়া হচ্ছে না। দিদিমণি চিন্তা করবেন না। আপনার মনের ইচ্ছা পূরণ হবে। আপনার দলের অনেকেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দ্রৌপদী মুর্মুকে ভোট দেবেন।” দিলীপের এই দাবির পালটা এসেছে তৃণমূল শিবির থেকেও। শাসকদলের রাজ্যসভার সাংসদ ডঃ শান্তনু সেন দিলীপকে পালটা কটাক্ষ করে বলেছেন,”আপনার দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তো আপনাকে কথা বলতে বারণ করেছে। তাহলে এত কথা কেন বলছেন। আমাদের দলের প্রার্থীর ব্যপারে আমরা দেখে নেব। আপনি আপনাদের প্রার্থী সামলান।”
প্রসঙ্গত, দ্রৌপদী মুর্মু মঙ্গলবার সকাল থেকেই কলকাতায় ভোটপ্রচার শুরু করে দিয়েছেন। এদিন সকালে শিমলা স্ট্রিটে বিবেকানন্দের বাসভবনে গিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে এসেছেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিবেকানন্দের বাড়ি থেকে ফিরে শহরের এক অভিজাত হোটেলে দলের বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.