কলহার মুখোপাধ্যায়, বিধাননগর: এক কিলোমিটারের মধ্যে তিন জন করোনাতে আক্রান্তের খবরে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল সল্টলেকের ২ নম্বর সেক্টরের করুণাময়ী এলাকায়। এবার কি এই এলাকাকে স্পর্শকাতর ঘোষণা করতে চলেছে সরকার? তা নিয়ে শুক্রবার রাত থেকে নতুন করে আতঙ্কিত করুণাময়ী ও তার আশপাশের ব্লকের মানুষ। জল্পনার মাত্রা এতটাই তীব্র যে সকাল থেকেই নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র মজুত করতে উঠে পরে লাগলেন ৩২ নম্বর বরোর বেশিরভাগ বাসিন্দা।
তবে শনিবার রাত পর্যন্ত সল্টলেকের কোনও অংশকে অতিরিক্ত সংবেদনশীল এলাকা বলে চিহ্নিত করা হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। কিন্তু কয়েকটি মহলের ধারণা, ৩২ নম্বর ওয়ার্ড, দত্তবাদের একাংশ ও মহিষবাথানের কিছুটা এলাকার উপর নজরদারি বাড়ানো হবে। এর সঙ্গে এই এলাকার বাসিন্দাদের চলাফেরায় রাশ টানা হতে চলেছে। এই বিষয়ে স্পষ্ট করে আলোকপাত করতে পারছে না কোনো পক্ষই। বিধানননগর পুরনিগমের কাছে এদিন রাত পর্যন্ত কোনো নির্দেশ আসেনি বলে জানিয়েছে। বিধাননগর কমিশনারেট হটস্পট সংক্রান্ত কোনো নির্দেশিকা পায়নি বলেই জানা গিয়েছে। বিধাননগরের মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয়কুমার রায় জানিয়েছেন, ” হটস্পট সংক্রান্ত কোনো নির্দেশ আসেনি। আসলে সরকারি নিয়ম মেনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।” উল্লেখ্য, মেয়র পারিষদ নিজের হোয়াটসঅ্যাপের স্ট্যাটাসে সল্টলেকে কোনও স্পর্শকাতর এলাকা ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত হচ্ছে কিনা জানতে চান এক স্বাস্থ্যকর্তার কাছে।
এদিন সকাল থেকে করুণাময়ী এলাকার বাজারগুলোতে ভিড় জমে যায়। কয়েকটি দোকানে মালপত্র শেষ হয়ে যায়। মানুষ স্পর্শকাতর এলাকা ঘোষণার আগে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস যতটা সম্ভব মজুত করে রাখার চেষ্টা করে গিয়েছেন। তবে বেলা বাড়ার পর মানুষের ভিড় কমে যায় এবং পুলিশের তৎপরতা বেড়ে যেতে দেখা যায়। ফলে বিকেলের পর থেকে ফের অতিরিক্ত নজরদারি নিয়ে শুরু হয় জল্পনা। তবে এই চিত্র শুধু সল্টলেকের নয়। একই জল্পনা দেখা যায় দমদমের ২৩ নম্বর এলাকার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। ওই এলাকাতে করোনা আক্রান্তের খোঁজ মেলার পর আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। এদিন স্পর্শকাতর এলাকা ঘোষণা করার জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে। এই এলাকার মানুষ মালপত্র কিনে ঘরে মজুত করা শুরু করেছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.