সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আচমকা মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ার ঘটনায় উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ দার্জিলিং সফর কাটছাঁট করে যত দ্রুত সম্ভব শহরে ফেরার চেষ্টা করছেন তিনি৷
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী গোটা ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন৷ বলেন, “একটা দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে৷ দুর্ঘটনা তো কেউই চায় না৷ কেন ঘটল, কীভাবে ঘটল, সেসব নিয়ে পড়ে আলোচনা হবে৷ নিশ্চয়ই সব খতিয়ে দেখা হবে৷ কিন্তু তার আগে জরুরি সেখানে আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধার করা৷ তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া৷ এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করা৷ এমন জরুরিকালীন পরিস্থিতিতে সবাইকে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে৷ এখান থেকেও নজরদারি চালাচ্ছি আমরা৷ তবে এখনই শিলিগুড়ি থেকে ফেরার কোনও ফ্লাইট নেই৷ কোনও বিকল্প ব্যবস্থা থাকলে দেখছি৷” তবে এখনও পর্যন্ত ক্ষতিপূরণের কোনও কথা ঘোষণা করেননি মুখ্যমন্ত্রী৷
মঙ্গলবার বিকেলে আচমকাই ভেঙে পড়ল শহরের অন্যতম ব্যস্ত মাঝেরহাট ব্রিজের একাংশ৷ এখনও পর্যন্ত অন্তত একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে৷ তবে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী৷ আহতদের সিএমআরআই ও এসএসকেএম হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে৷ ব্রিজের নিচে এখনও বেশ কয়েকটি গাড়ি এবং কমপক্ষে ৩৫ জনের আটকে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ এই এলাকাতেই চলছে মেট্রো রেলের কাজ৷ যার জন্য ব্রিজের পাশেই শ্রমিকরা একটি ঘরে থাকতেন৷ তাঁদেরও প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ সেতুর বাকি অংশটাও খুব বিপজ্জনকভাবে রয়েছে৷ সে কারণে সেই অংশ দিয়ে সাধারণ মানুষের যাতায়াত বন্ধ রাখা হয়েছে৷ বেহালা, জোকার মতো এলাকাগুলির সঙ্গে বাকি কলকাতার যোগাযোগ একপ্রকার বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে৷ ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে৷ বন্ধ বজবজ-শিয়ালদহ শাখায় ট্রেন চলাচল৷ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার৷ ঘটনায় নিহত ও আহতদের প্রতি সহানুভূতি জানিয়েছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়৷ তাঁর দাবি, এই ঘটনার দায় নিতে হবে রাজ্য সরকারকেই৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.