সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo), সব্যসাচী দত্তর পর বিজেপিতে আরও বড়সড় ভাঙনের ইঙ্গিত দিলেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। দাবি করলেন, বিজেপির অনেক নেতাই তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য অ্যাপ্লিকেশন দিয়ে রেখেছে। তাঁদের কবে, কীভাবে দলে নেওয়া হবে, সেটা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) ঠিক করবেন।
শনিবার ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) বলেন, “বিজেপির আরও অনেক নেতা তৃণমূলে যোগ দিতে চান। আমাদের কাছে অনেক অ্যাপ্লিকেশন জমা পড়েছে। সেগুলো অভিষেকের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। অভিষেক ঠিক করবে, কবে কাকে দলে নেওয়া হবে।” ফিরহাদের এই মন্তব্যে বিজেপি শিবির কিছুটা হলেও চিন্তিত। যদিও প্রকাশ্যে উদ্বেগের কথা মানছেন না গেরুয়া শিবিরের নেতারা।
দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলছেন, “ভোটের আগে লক্ষ লক্ষ মানুষ তৃণমূল ছেড়ে এসেছিল। তাঁদের অনেকেই সুবিধা না পেয়ে এখন ফিরে যাচ্ছে। এদের মধ্যে কিছু নেতাও আছে। এদের মধ্যে কাউকে কাউকে নানারকম কেস দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে। অনেককে কোনওরকম সরকারি সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না। ভয় দেখিয়ে তৃণমূলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।” বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলছেন, তৃণমূলে নিজেদের গুরুত্ব বাড়াতে এখন অনেকেই অনেক কিছু বলছেন। ভোটের আগে এদের মধ্যে অনেক তৃণমূল (TMC) নেতাই বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। এসব নিয়ে বিজেপি চিন্তিত নয়।
ফিরহাদের এই মন্তব্য রাজ্যের চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনের আগে বিজেপিকে চিন্তায় রাখবে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের। কারণ, রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বিরাট জয়ের পরই বিজেপিতে ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই গেরুয়া শিবির ছেড়ে শাসক শিবিরে নাম লিখিয়েছেন মুকুল রায় (Mukul Roy), বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo), সব্যসাচী দত্ত-সহ বিজেপির বহু নেতা এবং বিধায়ক। আরও কয়েকজনের শাসকদলের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে বলে সূত্রের দাবি। সুতরাং ফিরহাদের দাবিকে একেবারে অমূলক বলে উড়িয়েও দিতে পারছে না বিজেপি। বিশেষ করে রাজ্য সভাপতি পদে নতুন মুখ আসার পর, একশ্রেণির নেতাদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টির আশঙ্কা করছে গেরুয়া শিবির। আবার জাতীয় স্তরেও তৃণমূল নেতারা অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। যা আশঙ্কা আরও বাড়াচ্ছে গেরুয়া শিবিরের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.