গৌতম ব্রহ্ম: জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের জেরে কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে (Kolkata Police Commissioner) অপসারণের সিদ্ধান্ত আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার বিনীত গোয়েলের জায়গায় নতুন সিপির নাম ঘোষণা করল নবান্ন। বিনীতের পরিবর্তে কলকাতার নতুন পুলিশ কমিশনার হচ্ছেন মনোজ বর্মা। এতদিন এডিজি আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন তিনি। বিনীত গোয়েলকে পাঠানো হল এসটিএফের এডিজি এবং আইজিপি পদে।
মুখ্যমন্ত্রী আগেই জানান, বিনীত গোয়েলকে তাঁর পছন্দের জায়গায় কাজ করতে দেওয়া হবে। সেই মতো তাঁকে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ পদেই পাঠানো হল। এসটিএফের প্রধান হলেন কলকাতার অপসারিত নগরপাল। এদিন দুপুরেই তিনি মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন। জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি মতো ডিসি নর্থকেও সরানো হয়েছে। অভিষেক গুপ্তার বদলে ওই পদে এলেন দীপক সরকার। শিলিগুড়ির ইস্টের ডিসি ছিলেন তিনি। অভিষেক গুপ্তাকে পাঠানো হল ইএফআর সেকেন্ড ব্যাটেলিয়নের সিও পদে। একই সঙ্গে আরও একাধিক পদে বদল আনা হয়েছে। ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর এডিজি ও আইজিপি পদে এলেন জ্ঞানবন্ত সিং। আইবি থেকে জাভেদ শামিমকে আনা হল এডিজি আইনশৃঙ্খলার পদে। এসটিএফের বর্তমান প্রধান ত্রিপুরারি অথর্বকে পাঠানো হয়েছে ইকোনমিক অফেন্সেসের প্রধান পদে।
৯ আগস্ট আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চারতলার সেমিনার হলে উদ্ধার হয় তরুণী চিকিৎসকের দেহ। অভিযোগ, তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। সেদিন থেকেই বিনীত গোয়েলের বিরুদ্ধে একঝাঁক অভিযোগ চিকিৎসকদের। সেই আগুনে ঘি ঢালে ১৪ আগস্ট রাতের ঘটনা। ‘রাত দখল’ কর্মসূচির মাঝেই একদল দুষ্কৃতী আর জি কর হাসপাতালে ঢুকে তাণ্ডব চালায়। সেই সময় কার্যত নির্বাক দর্শকের ভূমিকা পালন করেছিল কলকাতা পুলিশ। সেই রাতেও হাসপাতালে গিয়েছিলেন সিপি। বার বার অভিযোগ উঠেছে, অপরাধীদের আড়াল করার চেষ্টা করেছেন বিনীত গোয়েল। তাঁর নেতৃত্বে অপরাধের প্রমাণ নষ্ট করে হয়েছে। এমনকী, বিনীত গোয়েলের নীলনকশা মেনেই কলকাতা পুলিশ বার বার মিথ্যা কথা বলেছেন। এমনই অভিযোগ বিরোধী থেকে চিকিৎসক মহলের। তাঁর পদত্যাগ চেয়ে লালবাজার অভিযান করেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। রাতভর রাস্তায় ধরনা দিয়েছেন। এর পরই পদ থেকে সরলেন বিনীত গোয়েল। তবে, তাঁকে তাঁর পছন্দের এসটিএফেই পাঠানো হল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.