সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তফসিলি জাতির মর্যাদা পেতে চেয়ে মেটেই জনজাতির বিক্ষোভে কয়েক সপ্তাহ ধরে অশান্ত উত্তর-পূর্বের রাজ্য মণিপুর (Manipur)। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি সেখানে। রাস্তা শুনশান, অশান্তি এড়াতে পথে চলছে সেনাবাহিনীর টহল। দেখামাত্র গুলির নির্দেশ জারি হয়েছে। বন্ধ ট্রেন চলাচল। সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত ৫৪ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গিয়েছে। প্রাণহানির আশঙ্কায় মানুষজন রাজ্য ছেড়ে পালাচ্ছেন অসম ও অন্যান্য প্রতিবেশী রাজ্যে। মণিপুরের এই পরিস্থিতিতে উদ্বেগপ্রকাশ করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। শনিবার টুইটে তিনি উদ্বেগের কথা জানিয়ে এ রাজ্যের বাসিন্দাদের উদ্ধারে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন। চালু করলেন হেল্পলাইন নম্বর (Helpline Number)। যাঁরা অশান্ত মণিপুর থেকে বাংলায় ফিরে আসতে চান, তাঁরা ওই নম্বরে যোগাযোগ করলে সাহায্য পাবেন। মুখ্যসচিবকে তিনি দায়িত্ব দিয়েছেন, মণিপুর সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে মানুষজনকে উদ্ধার করতে হবে।
Deeply anguished by the kind of messages and sos we are receiving from Manipur. I am concerned about the safety of the people of Manipur and others hailing from different parts of the country, now stranded there. Govt of Bengal is committed to stand by the people & has decided to…
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) May 6, 2023
টুইটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ”মণিপুর থেকে আর্ত মানুষের বার্তা পাচ্ছি। খুবই চিন্তা হচ্ছে। আমি ওখানকার মানুষজনের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। দেশের নানা প্রান্তের মানুষজন ওখানে আটকে রয়েছেন। রাজ্য সরকার তাঁদের পাশে রয়েছে। মুখ্যসচিবকে বলেছি, মণিপুর সরকারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে ওখান থেকে যাঁরা ফিরতে চায়, তাঁদের সাহায্য করতে। সকলকে বলছি, আপনারা শান্তি বজায় রাখুন।” চালু করা হয়েছে হেল্পলাইন নম্বর – ০৩৩-২২১৪৩৫২৬ ও ০৩৩-২২৫৩১৮৫।
মণিপুরের মেটেই জনজাতিকে তফসিলি উপজাতির (ST) তকমা দেওয়ার দাবি দীর্ঘদিনের। মণিপুরের বিজেপি সরকার সেই দাবি মেনে নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। তাতেই ক্ষুব্ধ কুকি-সহ অধিকাংশ আদিবাসী সংগঠন। তাদের বক্তব্য, মেটেইরাও যদি তফসিলি উপজাতির স্বীকৃতি পেয়ে যায়, তাহলে আদিবাসীদের অধিকার ক্ষুণ্ণ হবে। সরকারের দাবি, ওই গির্জাগুলি ছিল বেআইনি। সরকারের এই পদক্ষেপে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে আদিবাসী খ্রিস্টানরা। সেটাও বিক্ষোভের অন্যতম কারণ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.