গোবিন্দ রায়: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রথম জামিন। গ্রেপ্তারির ৬ মাসের মাথায় শর্তসাপেক্ষে জামিনে মুক্তি পেলেন মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী শতরূপা। সোমবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর দে’র নির্দেশে শর্তসাপেক্ষে জামিন পেলেন তিনি।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তভার নেওয়ার পরই ইডি’র স্ক্যানারে আসেন তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। একাধিকবার তলবের পর গত বছরের ১১ অক্টোবর ইডি’র হাতে গ্রেপ্তার হন তিনি। তারপর মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী শতরূপা এবং ছেলে সৌভিক ভট্টাচার্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। চলতি বছরের জানুয়ারিতে জামিনের আবেদন জানান শতরূপা। সেই সময় তাঁর জামিনের আরজি খারিজ হয়ে যায়।
সোমবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ ইডি’র ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বলেন, “শতরূপা ভট্টাচার্য কারও কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন এমন প্রমাণ ইডি’র কাছে নেই। শতরূপা ভট্টাচার্যর পালিয়ে যেতে পারেন এবং নথি বিকৃত করতে পারেন এই মর্মে আশঙ্কাও প্রকাশ করেনি ইডি। ৭ জানুয়ারি প্রথম যখন জামিনের আরজি জানান তখন তাঁকে জামিন দিয়ে দেওয়া উচিত ছিল। স্পেশ্যাল কোর্টের পদ্ধতি খুব বিরক্তিকর। তাঁকে (শতরূপা ভট্টাচার্য) আর হেফাজতে রাখার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না।” এরপর মানিক ঘরনির জামিনের নির্দেশ দেন। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ৫০ হাজার টাকার দুটি বন্ডে জামিন পান তিনি। পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে তাঁকে। করতে হবে তদন্তে সহযোগিতাও। রাজ্যের বাইরে যাওয়ার আগে বিশেষ আদালতকে জানাতে হবে।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রথম জামিন নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু জোর চাপানউতোর। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “আদালতের বিষয়। সরাসরি মন্তব্যের জায়গা নেই। এই ধরনের গল্প বানানো হচ্ছে। জনমানসে ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করা হচ্ছে। কিন্তু তথ্য আদালতে দেওয়া হচ্ছে না। খারাপ ধারণা তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। যে খবর দেওয়া হচ্ছে সেগুলো ধ্রুব সত্য না। মানুষের কাছে , বিরোধীদের কাছে বিশ্রী ধারণা চলে যাচ্ছে। কেন এগুলো অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। আমাদের কথাই প্রতিফলিত হচ্ছে কোর্টের রায়ে।”
[আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি: চাপ দিয়ে মিথ্যে বলাচ্ছে ইডি! প্রমাণ খামবন্দি করে আদালতে হাজির কুন্তল ঘোষ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.