মানিক ভট্টাচার্য। ফাইল ছবি
স্টাফ রিপোর্টার: ফের বিধানসভায় তৃণমূল বিধায়কের চিকিৎসার বিল জমা দেওয়া ঘিরে বিতর্ক! এবার স্ক্যানারে পলাশিপাড়ার বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। অভিযোগ, তিনি নাকি জেলে থাকাকালীন চিকিৎসা সংক্রান্ত বিলও বিধানসভায় জমা করেছেন। এবিষয়ে পরামর্শ নিতে আইনজ্ঞদের ডাকা হয়েছিল বিধানসভায়। এমনকী, প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারকেও ডেকেছিলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিষয়টা কী?
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেপ্তার করেছিল ইডি। তারপর থেকে দীর্ঘসময় তিনি জেলবন্দি। সদ্য জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। তারপরই বিধানসভার টিএ-ডিএ সেকশনে জমা দিয়েছেন চিকিৎসা সংক্রান্ত একাধিক বিল। আর সেই বিল নিয়েই ধোঁয়াশা বেড়েছে। অভিযোগ, জেলে থাকাকালীন চিকিৎসার বিলও বিধানসভায় জমা পড়েছে। বিলগুলি খতিয়ে দেখার পরই প্রশ্ন ওঠে। সঙ্গে সঙ্গে বিধানসভার সচিবালয়ে বিষয়টি জানানো হয়। তারপর তার গুরুত্ব বিবেচনা করে তা স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পাঠানো হয়। বিলটি খতিয়ে দেখার পর স্পিকার ডেকে পাঠান প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারকে। সোমবার সুপার দেখাও করেন।
নিয়ম অনুযায়ী, সাধারণত বিধায়করা তাঁর নিজস্ব কিংবা স্ত্রীর চিকিৎসার ক্ষেত্রে হাসপাতালের বিল বিধানসভায় জমা দেওয়ার সুযোগ পান। সেই টাকা তাঁরা ফেরতও পান। বহু বিধায়কের জটিল রোগের চিকিৎসার খরচ বহন করেছে বিধানসভা। মেডিক্যাল বিলের ক্ষেত্রে কোনও ঊর্ধ্বসীমা থাকে না। শুধুমাত্র চশমার ক্ষেত্রে খরচের উর্ধ্বসীমা বাঁধা রয়েছে ৫ হাজার টাকা। তবে জেলে থাকাকালীন বন্দির চিকিৎসার দায়িত্ব জেল কর্তৃপক্ষের। দায় অন্য কারও নয়। সেই বিল বিধানসভায় কেন জমা পড়ল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তবে অন্য একটি সূত্র বলছে, পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়কের জেলযাত্রার আগে কোনও রোগ থাকলে, যদি ধারাবাহিকভাবে সেই চিকিৎসা চলতে থাকে এবং জেলে যাওয়ার পরেও বাইরে থেকে তাঁর সেই চিকিৎসা বা ওষুধের বন্দোবস্ত পরিবারকে করতে হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে বিধানসভায় মেডিক্যাল বিলও জমা দিতেই পারেন বিধায়ক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.