অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: এক রাতেই সব পুড়ে ছাই। হাওড়ার (Howrah) সবচেয়ে বড় বাজার মঙ্গলাহাটের ২০০০ দোকান আগুনের গ্রাসে। সব হারিয়ে মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের। বৃহস্পতিবারের বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের পর শুক্রবার দুপুরেই সেখানে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। অগ্নিকাণ্ডের নেপথ্যে কারা, জানতে সিআইডি (CID) তদন্তের নির্দেশ দেন তিনি। তাঁকে দেখে কান্না যেন আর বাঁধ মানেনি সর্বহারাদের। বারবার করজোড়ে তাঁর কাছে নিজের ক্ষতির কথা বোঝাচ্ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীও তাঁদের কথা শোনেন। পুড়ে যাওয়া দোকানগুলি পুনর্গঠনে প্রত্যেককে ৫ লক্ষ টাকা ঋণ দেওয়ার ঘোষণা করেছেন। গ্যারেন্টার রাজ্য সরকার।
বৃহস্পতিবার রাত প্রায় সাড়ে ১২টা। হাওড়ার পাইকারি বাজার মঙ্গলাহাটে আচমকাই আগুন (Fire) লেগে যায়। প্রায় ১২ বিঘা জমির উপর এই মঙ্গলাহাট। দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে সমস্ত দোকান। দমকলের ১৮ টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করলেও জল সংকটের জন্য কাজ ব্যাহত হয়। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, প্রথমে নর্দমা থেকে জল নিয়েই আগুনে নেভানোর কাজ শুরু হয়।পরে হাওড়া হাসপাতালের জল ব্যবহার করেন দমকল কর্মীরা। পরে যখন আগুন আয়ত্বে আসে, তখন সব শেষ! ২ হাজারের বেশি দোকান একেবারে ছাইতে পরিণত হয়েছে। কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছে।
খবর পেয়ে সকালেই মঙ্গলাহাটে যান দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু (Sujit Basu)। তাঁর মাধ্যমে খোঁজখবর নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে তিনি নিজেই ঘটনাস্থলে যেতে চান। এদিন একুশের সভামঞ্চে বক্তব্য শেষ করেই মঙ্গলাহাটে ছুটে যান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে দেখেই কান্নায় ভেঙে পড়েন ব্যবসায়ীরা। গোড়া থেকেই ব্যবসায়ীদের অভিযোগ ছিল মালিকের বিরুদ্ধে। অগ্নিকাণ্ডের পিছনে অন্তর্ঘাতের (Sabotage) আশঙ্কা করেছিলেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রীকেও সেকথা জানান। পরে মুখ্যমন্ত্রী অগ্নিকাণ্ডের নেপথ্যে কারা আছে, তদন্তে চিহ্নিত করে দ্রুত কড়া শাস্তির কথা বলেন। তদন্তভার দেন সিআইডি-র উপর। তবে এভাবে মুখ্যমন্ত্রী পাশে দাঁড়ানোয় কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.