Advertisement
Advertisement
পরকীয়া

পরকীয়ার অভিযোগে দমদমে স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন স্বামীর

মঙ্গলবার সকালে মৃত্যুঞ্জয়কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

Man stumbles upon wife's affair, stabs her to death

ছবি: প্রতীকী।

Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:May 28, 2019 4:53 pm
  • Updated:May 28, 2019 4:53 pm  

কলহার মুখোপাধ্যায়: বিয়ের পর থেকেই একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগে অশান্তি লেগে থাকত স্বামীর সঙ্গে। সেই একই অভিযোগে ২০ বছর বিবাহিত জীবনের শেষে স্ত্রীকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করলেন স্বামী।

পেশায় মাছ ব্যবসায়ী মৃত্যুঞ্জয় সেন নামে ওই ব্যক্তির বাড়ি দমদমের পূর্ব সিঁথি এলাকার বিধান কলোনিতে। বয়স ৬০। স্ত্রী রুমা সেনের বাড়ি মধুগড়ে। বয়স ৩৮। তাঁদের একটি ১৪ বছরের মেয়েও রয়েছে। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, কিছুদিন আগেই সাংসারিক অশান্তি তীব্র হওয়ায় ব্যবসায়ীর স্ত্রী বাবার কাছে থাকছিলেন। সেখানেই সোমবার অনেক রাতে ১৯ ইঞ্চি লম্বা একটি চপার নিয়ে পৌঁছন স্বামী। বাড়ির বাইরে ডেকে সেখানেই কুপিয়ে খুন করেন স্ত্রীকে। স্ত্রীকে খুন করে প্রথমে পালিয়ে গেলেও মঙ্গলবার সকালে মৃত্যুঞ্জয়কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রটির খোঁজ চলছে। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, মৃত্যুঞ্জয়ের মেজাজ প্রায় সব সময়ই সপ্তমে চড়ে থাকত। স্ত্রীর সঙ্গে প্রায় সর্বক্ষণই সাংসারিক অশান্তি লেগে থাকত। স্ত্রীর বিরুদ্ধে ওই ব্যক্তির অভিযোগ, প্রতিবেশীদের মধ্যেই একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল রুমার। বেশ কিছু ক্ষেত্রে প্রমাণও মিলেছে। কখনও সেই প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন মৃত্যুঞ্জয়। কখনও স্ত্রীর বিরুদ্ধে। কিন্তু কোনওকিছুতেই কাজ হয়নি। নতুন করে আবার কোনও সম্পর্কের অভিযোগ সামনে এসেছে।

Advertisement

প্রতিবেশীদের আবার পালটা অভিযোগ, এতদিন ধরে যদি অভিযোগই থাকবে তবে এত বছর ধরে সংসার করল কেন তারা? যদিও এসব কোনও অভিযোগই স্বীকার করেননি মৃত বধূর বাবা-মা। অন্যদিকে, কোনওভাবেই তাঁর স্ত্রীকে তিনি সামলাতে পারছিলেন না বলে চূড়ান্ত রাগের বশে খুন করে ফেলেছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশকে। সেই অবস্থায় মেজাজ গরম হয়ে গিয়ে রাগের বশে খুন করে ফেলেন। প্রতিবেশীরা এ-ও জানিয়েছেন, ওই মাছ ব্যবসায়ী মৃত্যুঞ্জয়ের পুরনো দুষ্কৃতীকর্মের ইতিহাস আছে বলে জানা যায়। তবে কোথায় কোন ঘটনায় তাঁর নাম জড়িত তা স্পষ্ট নয়। ফলে স্ত্রীকে খুনের পিছনে অন্য কোনও ঘটনা রয়েছে কি না, পুরনো কোনও সংঘাত বা গোলমালের সূত্র রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এই প্রসঙ্গেই ১৯ ইঞ্চি লম্বা চপার খুনি কোথায় পেল তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশের একটি অংশ বলছে, সে পেশায় মাছ ব্যবসায়ী। ফলে এই ধরনের অস্ত্র জোগাড় করা তার কাছে আশ্চর্য কিছু নয়। তবে তার পুরনো দুষ্কৃতীকর্মের ইতিহাস থাকলে তা ঘেঁটে দেখা হবে। সেখানে তেমন কারও সঙ্গে যোগাযোগ থাকলেও এই ধরনের অস্ত্র জোগাড় সে অনায়াসেই করতে পারে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement