সুব্রত বিশ্বাস: রেল পুলিশের তৎপরতায় বোনের বিয়ের আশীর্বাদী নেকলেস ফিরে পেলেন দাদা। ভুল করে ট্রেনে হারটি ফেলে চলে গিয়েছিলেল তিনি। তবে রেল পুলিশের তৎপরতায় হারানো গয়না ফিরে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েন পৃথ্বীরাজ সিং নামের ওই যুবক।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় হাবড়া-মাঝেরহাট লোকালে কলকাতা আসছিলেন পৃথ্বীরাজ সিং। ঘোলা নেতাজি সুভাষ নগরের এই বাসিন্দা মালদা যাওয়ার জন্য নিউ ব্যারাকপুর থেকে ট্রেনটিতে চাপেন। তড়িঘড়ি কলকাতা স্টেশনে নেমে যান সঙ্গের ব্যাগ ট্রেনে ফেলে রেখেই। ট্রেনটি বেরিয়ে যাওয়ার পর তিনি বুঝতে পারেন, ব্যাগ ফেলে নেমে গিয়েছেন। ওই ব্যাগেই রয়েছে বোনের বিয়ের আশীর্বাদী সোনার নেকলেস ও অন্যান্য রুপোর অলংকার। এরপর তিনি কলকাতা টার্মিনালের জিআরপি থানায় বিষয়টি জানান। পুলিশ চক্ররেলের বিভিন্ন স্টেশনে ফোন করে বিষয়টি জানান। বড়বাজার চক্ররেল স্টেশনে কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়ার পরম বাহাদুর ট্রেনটিতে চড়ে তল্লাশি করে দাবিহীন ব্যাগটি হেফাজতে নেন। সেই ব্যাগেই পাওয়া যায় হারিয়ে যাওয়া নেকলেস ও অন্যসব গয়না।
ব্যাগ ফেরত পেয়ে পৃথ্বীরাজ সিং বলেন, “পুলিশের তৎপরতায় ব্যাগ ফেরত পেলাম। বোনের আশীর্বাদী নেকলেস পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলাম। কিন্তু সেগুলি হারিয়ে চরম বিপদের মধ্যে পড়েছিলাম। হারানো গয়না ফিরে পেয়ে খুব ভাল লাগছে।” রেল পুলিশের ভারপ্রাপ্ত ডিএসপি নরেন্দ্রনাথ দত্ত বলেন, “সিভিক পুলিশকর্মী তৎপর হয়ে ব্যাগটি খুঁজে পেয়েছেন। সৌভাগ্যের বিষয়।”
উল্লেখ্য, কলকাতা স্টেশনে দাবিহীন ব্যাগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল একদিন আগেই। অকালতখৎ এক্সপ্রেস ছাড়ার আগে বি-৪ কামরার শৌচালয়ের কাছে দু’টি ট্রলি ব্যাগ দাবিহীন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন যাত্রীরা। খবর পেয়ে কলকাতা স্টেশনের আরপিএফ ও সিআইবির কর্মীরা ব্যাগটি সন্তর্পণে নামিয়ে আনেন। তা খুলে দেখা যায় সার দিয়ে বিলেতি মদের বোতল। এরপরেই তা উদ্ধার করে জিআরপিকে দেওয়া হয়। উদ্ধার করা মদের দাম ২১ হাজার টাকা। বিহারে মদ নিষিদ্ধ হওয়ার পর বাংলা থেকে ট্রেনে দেদার মদ পাচার হচ্ছে বলে অভিযোগ। পাচারকারীরা মদ ভরতি ব্যাগ দাবিহীন অবস্থায় কামরারা মধ্যে রেখে দেয়। গন্তব্যে গিয়ে তা নামিয়ে নেয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.