অর্ণব আইচ: কড়া নিরাপত্তার বেড়াজাল পেরিয়ে পাঁচিল টপকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে ঢুকে পড়েছিলেন এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। শনিবার রাত ১টা ২০ নাগাদ সকলের চোখ এড়িয়ে প্রবেশ করেন। বাড়ির চত্বরেই প্রায় সাত ঘণ্টা ঘাপটি মেরে বসেছিলেন তিনি। পরের দিন সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ তাঁকে কালীঘাট থানার পুলিশের হাতে তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) বাড়ির নিরাপত্তারক্ষীরা। সেই অভিযোগেই ধৃতকে সাতদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত। ওই সাতঘণ্টা মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঠিক কী করছিলেন অভিযুক্ত? এবার সেই কারণ জানারই চেষ্টা করবে পুলিশ।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ধৃতের নাম হাফিজুল মোল্লা। বয়স ৩২। বাড়ি হাসনাবাদে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৫৮ নম্বর ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। রবিবারই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল অভিযুক্ত। আজ, সোমবার তাঁকে আলিপুর আদালতে তোলা হলে তাঁর ১১ জুলাই পর্যন্ত পুলিশি হেফাজত হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, হাফিজুল নাকি লালবাজার ভেবে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকে পড়েছিলেন। কিন্তু এত রাতে লালবাজারেই (Lal Bazar) বা এভাবে যাওয়ার কারণ কী, তাও এখনও স্পষ্ট হয়নি। সেই সঙ্গে কীভাবে ৩৪বি হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের বাড়িতে সুরক্ষাবলয় টপকালেন তিনি, সে উত্তর খুঁজতেও চলছে জেরা।
অভিযুক্ত একবার দাবি করেছেন তিনি ফল বিক্রি করতে কলকাতায় আসেন। আবার এও বলেছেন, তিনি গাড়ির চালক। তাঁর বয়ান সঠিক কি না, তা খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে পুলিশ। ওই ব্যক্তি মানসিক ভাবে সুস্থ কি না, তাও পরীক্ষা করা হবে।
এদিকে এমন ঘটনার পর আরও সতর্ক হচ্ছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের প্রসাশনিক প্রধানের বাড়ি এভাবে এক অজ্ঞাতপরিচয় ঢুকে পড়ায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ নিয়ে কী পদক্ষেপ করা উচিত, তা ঠিক করতে এদিন নবান্নে বৈঠকে বসেছিলেন প্রশাসনিক কর্তারা। জনা গিয়েছে, বাড়ানো হতে পারে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির নিরাপত্তা। শুধু কালীঘাটের বাড়ি নয়, নবান্নেও নিরাপত্তা আঁটসাট করা হচ্ছে। এদিন নবান্নের প্রত্যেক গেটে পুলিশের উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তারা ঘুরে দেখেন। কোন গেট দিয়ে কারা ঢোকেন, তার খোঁজ নেন। যাঁরা ঢোকেন তাঁদের নামের এন্ট্রি হয় কি না তাও জানতে চাওয়া হয় বলে খবর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.