স্টাফ রিপোর্টার: খাগড়াগড় কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত জঙ্গির জেল ভাঙার ছকের অভিযোগ। বাইরে থেকে জেলের দেওয়ালের ছবি তুলতে গিয়ে কারাকর্মীর হাতে আটক হল অসমের বাসিন্দা এক যুবক। মোকিবুল ইসলাম নামে ওই যুবক খাগড়াগড়ের জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) জঙ্গি সইফুল ইসলামের সঙ্গী ও আত্মীয়।
[টাগের্ট বাংলার বৌধ্য গুম্ফা, মুর্শিদাবাদে ৮০ যুবক নিয়োগ জেএমবি’র]
মোকিবুল সইফুলের সঙ্গে আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে দেখা করতে এসেছিল। কিন্তু তার আগেই সে জেলের দেওয়ালের ছবি তুলতে গেলেই প্রশ্ন ওঠে। সম্প্রতি আলিপুর সেন্ট্রাল জেল থেকেই জেল টপকে পালিয়েছে তিন বাংলাদেশি বন্দি। তার আগে এই জেল থেকেই তিন ডাকাতির অভিযুক্ত পাঁচিল টপকে পালায়। এর পর থেকে কড়া হয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার আটক হওয়া মোকিবুলকে জেরা করেন কেন্দ্রীয় সংস্থা এনআইএ ও লালবাজারের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)-এর আধিকারিকরা।
কারা সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে কারা আধিকারিক নিরুপম খাঁড়া অফিসে যাওয়ার সময়ই দেখতে পান, এক যুবক বিভিন্ন দিক থেকে জেলের পাঁচিলের ছবি তুলছে। সন্দেহবশে তিনি যুবককে আটক করেন। যুবক মোবাইল থেকে ছবি মুছে ফেলার চেষ্টা করে। কিন্তু তা তাকে করতে দেওয়া হয়নি। যুবককে তিনি জেলের ভিতর নিয়ে যান। কারাকর্তাদের প্রাথমিক জেরায় মোকিবুল ইসলাম জানায়, তার বাড়ি অসমের বরপেটার ঘুঘুবাড়ি থানা এলাকার পরগাছিয়ায়।
[টার্গেটে আছড়ে পড়ল ঘাতক ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রর নয়া সংস্করণ]
প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে খাগড়াগড় বিস্ফোরণ মামলায় এনআইএ-র হাতে গ্রেপ্তার হয় সইফুল ইসলাম। এখন সইফুল রয়েছে আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে। সইফুলও ছিল বরপেটার বাসিন্দা। অসমে জঙ্গি সংগঠন জেএমবি-র মডিউলের এক মাথা ছিল সইফুল। মোকিবুল জানিয়েছে, সইফুলের সঙ্গে দেখা করতে এদিন সকালেই সে অসম থেকে কলকাতায় আসে। সইফুল জেলের ভিতর থেকে মোকিবুলের সঙ্গে কথা বলে তাকে ডেকে নিয়ে এসেছিল কি না, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। সইফুল জেলে বসে পালানোর ছক কষেছিল, এমন সন্দেহ উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। মোকিবুলের সঙ্গে অসমের জঙ্গি সংগঠনের কোনও যোগাযোগ ছিল কি না, গোয়েন্দারা তা জানার চেষ্টা করছেন। মোবাইলে তোলা তার ছবিগুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.