ছবি: প্রতীকী।
অর্ণব আইচ: ফের শহরে নৃশংস খুন। পর্ণশ্রীর পর এবার হরিদেবপুর। প্রৌঢ় ব্যবসায়ীকে গলার নলি কেটে খুন করার অভিযোগ উঠল। নিহতের নাম তপন দে। হরিদেবপুরের চক রামনগর এলাকায় তাঁর লেদের কারখানা ছিল বলে জানা গিয়েছে।
টালিগঞ্জের ক্যাওড়াপুকুর এলাকার বাসিন্দা তপন দে। হরিদেবপুরের লেদের কারখানাটি বেশিরভাগ সময় একাই চালাতেন। শুক্রবার রাত এগারোটা বেজে গেলেও বাড়ি না ফেরায় তপনবাবুকে ফোন করেন তাঁর স্ত্রী। তপনবাবু ফোন না তুললে তিনি দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। কারখানার কাছেই তপন দে’র স্ত্রীর বাপের বাড়ি। পরিবারের সদস্যদের কারখানায় গিয়ে খোঁজ নিতে বলেন তপনবাবুর স্ত্রী। এরপরই খুনের ঘটনা জানা যায়।
তপনবাবুর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা গিয়ে কারখানার ভেজানো দরজা খুলে তাঁর মৃতদেহ দেখতে পান। বসে থাকা অবস্থাতেই খুন হয়েছেন ৫৪ বছরের প্রৌঢ়। গলা কেটে তাঁকে খুন করা হয়েছে। মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করার চিহ্নও নাকি পাওয়া গিয়েছে। কারখানার ভিতর থেকে বাইরে পর্যন্ত রক্তের দাগও দেখা গিয়েছে বলে খবর। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হরিদেবপুর এলাকায়।
কিছুদিন আগেই পর্ণশ্রীর সেনপল্লি এলাকার গোপাল মিশ্র রোডের বহুতল ফ্ল্যাটে সুস্মিতা মণ্ডল ও তাঁর ছেলে তমোজিতের গলা কাটা দেহ উদ্ধার হয়। সেই ঘটনায় একের পর এক তথ্য প্রকাশ্যে আসছে। শোওয়ার ঘরে সুস্মিতাদেবীর দেহ পড়ে ছিল। তমোজিতের দেহ ছিল তার পাশের ঘরে। তার পরনে ছিল স্কুলের পোশাক। মনে করা হচ্ছে, খুন হওয়ার আগে পর্যন্ত ভারচুয়াল ক্লাস করছিল কিশোর। শোনা গিয়েছে, খুনের পরে নাকি বাথরুমে স্নান করেছিল আততায়ী। পুলিশের মতে, মহিলা বা পরিবারের অতি পরিচিত হলেই তা সম্ভব। তবে বিকেল চারটের মধ্যে খুনের পর্ব সেরে খুনি চাবি দিয়েই গেটের তালা খুলে বেরিয়ে যায়। সেই চাবির গোছা এখনও নিখোঁজ।
পর্ণশ্রী থেকে হরিদেবপুরের দূরত্ব কয়েক কিলোমিটার। মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানেই সেখানে ফের সেখানে গলা কাটা দেহ উদ্ধার হল। দুই ঘটনার কোনও যোগসূত্র আছে কিনা, তা এখনও জানা যায়নি। তবে তপন দে’র খুনের ক্ষেত্রেও পুলিশের ধারণা, পরিচিত কোনও ব্যক্তি এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে। ব্যক্তিগত রোষ বা ব্যবসায়িক শত্রুতা খুনের মোটিভ হতে পারে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.