ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্ত্রী মারণরোগ ক্যানসারে ভুগছেন। চিকিৎসার পিছনে সব সঞ্চয় শেষ। দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ায় নিজেও আর কাজ করতে পারেন না। এমনই চরম আর্থিক সংকটে পড়ে অসুস্থ স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হলেন এক প্রৌঢ়। শুক্রবার যাদবপুরে (Jadavpur) মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে। এদিন সকাল ৯.২৫ মিনিট নাগাদ যাদবপুর ১/৩৯ চিত্তরঞ্জন কলোনির বাড়ি থেকে বৈজনাথ প্রসাদ(৬২) ও জলি প্রসাদের(৫৭) মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
আদতে বিহারের বাসিন্দা। ৩২ বছরের দাম্পত্য জীবন। বৈজনাথ গাড়িচালক ছিলেন। কিন্তু চোখের সমস্যার জন্য কাজ চলে যায়। প্রায় সাতমাস ধরে তাঁর কাজ নেই। টিনের ছাউনি দেওয়া একটি ঘরে থাকতেন। এদিকে সংসারের খরচ চালাতে পারছিলেন না। তার ওপর স্ত্রীর মারণরোগের চিকিৎসাভার। চরম আর্থিক সংকটে ভুগছিলেন ওই দম্পতি। যে কারণে স্ত্রীর সঙ্গে স্বামীর হামেশাই ঝামেলা লেগে থাকত।
এদিন প্রথমে তিনি স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করেন। মৃত্যু নিশ্চিত করতে গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস দেন। তারপর ঘরের সিলিংয়ের সঙ্গে ওই গামছা দিয়ে নিজে গলায় দড়ি দেন। পুলিশ জানিয়েছে, এদিন ঘরের মেঝেতে স্ত্রীর দেহ পড়ে ছিল। সিলিংয়ে গলায় গামছা দিয়ে ঝুলছিলেন স্বামী। ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়েছে। সুইসাইড নোটে লেখা আছে, তাঁদের মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। আর্থিক সমস্যা ও অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বৈজনাথ। এদিন আনন্দপুরেও এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতের নাম রতন বন্দ্যোপাধ্যায় (৫০)। নোনাডাঙা রেলওয়ে কলোনির বাসিন্দা সিলিংয়ে গলায় গামছা দিয়ে ঝুলছিলেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.