সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে ভরতি থাকাকালীন সেখানকার একটি ভিডিও তুলে সোস্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন আসানসোলের এক বাসিন্দা। নিমেষে ভাইরাল হয়েছিল সেই ভিডিও। এমনকী, তাঁর সেই ভিডিওকে হাতিয়ার করে রাজ্য সরকারকে কোনঠাসা করতে উঠেপড়ে লাগে বিজেপিও। ভিডিওটি রিটুইট করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। যিনি সেই ভিডিওটি তুলেছিলেন, এবার তাঁর নাম-পরিচয় প্রকাশ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। সংশ্লিষ্ট যুবকের অভিযোগ, তাঁর নাম, পরিচয় প্রকাশ করে দেওয়ায় তাঁকে ক্রমাগত খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এমনকী বাড়িও ফিরতে পারছেন না তিনি।
করোনা আক্রান্ত সন্দেহে আসানসোলের ওই বাসিন্দাকে এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। কিন্তু পরীক্ষায় দেখা যায় তিনি আক্রান্ত নন। এরপর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এর মাঝেই হাসপাতালের পরিস্থিতি ক্যামেরাবন্দি করেন তিনি। তাঁর ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল, হাসপাতালে দুটি মৃতদেহ পড়ে রয়েছে, অথচ কেউ তার সৎকারের ব্যবস্থা্ করছেন না। এই ভিডিও ঘিরে জলঘোলা হতে শুরু করে। কেন্দ্র সরকার ও রাজ্য বিজেপি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারে বিরুদ্ধে ক্রমাগত আক্রমণ শানাতে থাকে। একই সময় নেটিজেনদের একাংশ ভিডিওর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাঁদের জবাব দিতে গিয়েই ওই ব্যক্তি নাম, পরিচয়, মোবাইল নম্বর এমনকী বাড়ির ঠিকানাও পোস্ট করে দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। এরপরই বিপত্তি বাধে। ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। যদিও কলকাতা পুলিশের তরফে তাঁর সেই দাবি খারিজ করে দেওয়া হয়।
ওই যুবকের অভিযোগ, “হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর থেকে বাড়ি ফিরতে পারছি না। ক্রমাগত খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।” সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, কলকাতার রাস্তায় আত্মগোপন করে থাকছিলেন ওই যুবক। তাঁর কথায়, “আমি ব্যক্তিগতভাবে বাবুল সুপ্রিয়কে চিনি না। আমার ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করার অধিকার ওঁকে কে দিয়েছে?” শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, পুলিশের হস্তক্ষেপে তিনি বাড়ি ফিরেছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.