প্রতীকী ছবি।
অর্ণব আইচ: কলকাতা থেকে মহারাষ্ট্রে প্রায় দু’কোটি টাকার সোনা পাচারের ছক। ছত্তিশগড়ে সেই সোনা উদ্ধারের সূত্র ধরেই কলকাতা থেকে পাচার চক্রের এক মাথাকে গ্রেপ্তার করল ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজ্যান্স। কেশব বিশ্বম্ভর চৌহান ওরফে সমাধান নামে ওই ব্যক্তিকে উত্তর কলকাতার পি সি লাহিড়ী সরণিতে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃত ব্যক্তিকে ছত্তিশগড়ের মহাসামুন্দে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
ডিআরআই সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৩ জানুয়ারি মহাসামুন্দ এলাকায় রেঠিখোলে নাকা চেকিংয়ের সময় এই রাজ্যের নম্বরপ্লেটের একটি গাড়ি আটকান ছত্তিশগড়ের সিংহোডা থানার আধিকারিকরা। ওড়িশার সীমান্তবর্তী ওই এলাকায় সন্দেহের বশে গাড়িটির পিছনের সিটের তলায় তল্লাশি চালিয়ে একটি প্যাকেট থেকে প্রায় ১২২৪ গ্রাম সোনার বিস্কুট ও প্রায় ১৯১৭ গ্রাম সোনার পাত উদ্ধার হয়। এর মূল্য ১ কোটি ৯৪ লক্ষ ১০ হাজার ২০৫ টাকা। চালক-সহ তিনজনকে ধরা হলেও গ্রেপ্তার করা হয় পাচারকারী মধুসূদন রামকৃষ্ণ লাহোটিকে। ওই সোনা ও ধৃতকে পুলিশ ডিআরআইয়ের হাতে তুলে দেয়।
ডিআরআইয়ের গোয়েন্দারা তাকে জেরা করে জানতে পারেন যে, কলকাতা থেকে ওড়িশা, ছত্তিশগড় হয়ে পুণেতে ওই সোনা পাচারের ছক কষা হয়। মধুসূদনকে জেরা করে গোয়েন্দারা জানতে পারেন, সোনার মূল সরবরাহকারী উত্তর কলকাতার কেশব বিশ্বম্ভর চৌহান। তার আসল বাড়ি মহারাষ্ট্রের সোলাপুরে। কলকাতায় বসে বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়ে আসা সোনা সে সড়কপথে পাঠাত মুম্বই, পুনে-সহ মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায়। ভাড়াবাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তাঁকে ডিআরআইয়ের গোয়েন্দারা গ্রেপ্তার করেন। তাঁকে ছত্তিশগড়ে নিয়ে গিয়ে জেরা করবেন গোয়েন্দারা। সোনা পাচারের সঙ্গে রেশন বন্টন দুর্নীতির যোগ পেয়েছে ইডি। এবার এই চক্রের সঙ্গে আরও কারও যোগাযোগ রয়েছে কি না, তা জানার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ডিআরআই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.