সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নবান্নের সভাঘরে সব দপ্তরের প্রধান সচিব ও মন্ত্রীদের ডেকে ব্যয় কমানোর গাইডলাইন বেঁধে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আজ, দুপুরে দীর্ঘ বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন, এখন থেকে আর অহেতুক খরচ করা চলবে না৷ খরচে লাগাম টেনে বাড়তি অর্থ রাস্তা সংস্কার ও পানীয় জল সরবরাহের উপর খরচ করা হবে জানানা মুখ্যমন্ত্রী৷ এছাড়াও, দপ্তরে বাড়তি কর্মীদের সংখ্যা চিহ্নিত করে চাহিদাসম্পন্ন দপ্তরে কর্মীবণ্টনের উপর গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে এদিন জানান মুখ্যমন্ত্রী৷ পাশাপাশি, বৈঠক শেষে সচিবদের পাতেও এলাহি খাবারে লাগাম টানা হয়৷ ভুঁড়িভোজের বদলে সাধারণ মেনুতেই এদিন মধ্যান্নভোজ সারতে হয় আধিকারিকদের৷
দীর্ঘ বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘সরকারে থেকে বিলাসিতা আর নয়৷ অপচয় বন্ধ করতে হবে৷ বাড়তি খরচ বাঁচিয়ে জনগণের উন্নয়নের কাজে লাগানো হবে৷ সমস্ত অফিসারদের এই বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে৷ ৫০,০০০ কোটি টাকা দেনা৷ তাও উন্নয়নের কাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে৷ ফলে, এখন থেকেই খরচ বাঁচিয়ে চলতে হবে৷’’
রাজ্য সরকারি দপ্তরে বাড়তি খরচ এড়াতে এর আগে ১৫ দফা গাইডলাইন দপ্তরে দপ্তরে পাঠিয়ে দিয়েছেন মুখ্যসচিব মলয় দে৷ শুধু সরকারি দপ্তর নয়, পুরসভা, পঞ্চায়েত, সরকার অধীনস্থ সংস্থা, বিভিন্ন নিগমেও ব্যয় সঙ্কোচের নির্দেশ দেওয়া হয়৷
এদিন আরও একবার সমস্ত দপ্তরের সচিবদের ১৫ দফা গাইডলাইন নতুন করে মনে করিয়ে দেওয়া হয়৷ প্রতিটি সভা, সম্মেলন বা সেমিনারের জন্য সরকারি জায়গায় করার নির্দেশ দেওয়া হয়৷ কোনও দপ্তর অফিস রুম, গেস্ট হাউস সৌন্দর্যায়নের জন্য সারা বছরে সর্বাধিক পাঁচ লক্ষ টাকা খরচ করতে পারবে বলেও এদিন জানানো হয়৷ চোখে পড়ার মতো ডেকোরেশন করার উপরও নিষেধাজ্ঞা জারির বিষয়ে জানানো হয় আধিকারিকদের৷ মিটিংয়ে সামান্য লাঞ্চ প্যাকেট বা সাধারণ ফুড প্যাকেট করতে হবে সাফ জানানো হয়৷ এদিন নবান্নের বৈঠক শেষেও মেনুও ছিল সাদামাটা৷ ভাত-ডাল-মাছের পদের আয়োজন করা হয়৷ ব্যয় নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে এটাই ছিল রাজ্য সরকারের প্রথম পদক্ষেপ৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.